বিপজ্জনক র‌্যাপেলিং আর করা যাবে না সীতাকুণ্ডের পাহাড়ে

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের চন্দ্রনাথ ধামের পাহাড়ে বিপজ্জনক ‘র‌্যাপেলিং’ করা যাবে বলে জানিয়েছে প্রশাসন। এটি সনাতন ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম প্রধান তীর্থস্থান হওয়ায় এখানে পর্যটন স্পটের মতো কোনো কর্মকাণ্ড করা যাবে না বলে জানানো হয়।

কয়েক মাস আগে একদল তরুণ এখানে ‘র‌্যাপেলিং’ করে যান। এরপর তারা একটি ট্যুরিস্ট গ্রুপের ব্যানারে বড় আকারে র‌্যাপেলিংয়ের আয়োজন করে বৃহস্পতিবার (১৫ সেপ্টেম্বর)। কিন্তু তাদের অনুমতি দেয়নি উপজেলা প্রশাসন।

বিপজ্জনক র‌্যাপেলিং আর করা যাবে না সীতাকুণ্ডের পাহাড়ে 1

জানা গেছে, সনাতন ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম প্রধান তীর্থভূমি সীতাকুণ্ডের চন্দ্রনাথ ধাম। এখানে প্রতিদিন দেশ-বিদেশের অসংখ্য সনাতনী ভক্তের আগমন ঘটে। এছাড়া পাহাড়ের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করার জন্য চন্দ্রনাথ পাহাড়ে বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মানুষ ছুটে আসেন।

সুউচ্চ পাহাড়ের চূড়া থেকে পশ্চিমে বঙ্গোপসাগরের সন্দ্বীপ চ্যানেলের নীল জলরাশি ভ্রমণ পিপাসুদের আকৃষ্ট করে। এ কারণে তীর্থ যাত্রীদের পাশাপাশি সমানতালে পর্যটকদেরও আগমন ঘটে। তবে এখানে বিভিন্ন সময়ে আসা পযটকরা এ তীর্থের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করে নানান বিতর্কের জন্ম দেয়।

এরমধ্যে কয়েক মাস আগে পাহাড়ে র‌্যাপেলিং করে যায় কিছু তরুণ। শুধু তাই নয়, একটি ট্যুর গ্রুপের পক্ষ থেকে এখানে আরও বড় ধরনের একটি র‌্যাপেলিং কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। যেটি বৃহস্পতিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) থেকে শুরু হওয়ার কথা ছিল। এ নিয়ে আয়োজকরা নানান প্রচারণা শুরু করে। গ্রুপটি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বরাবরে একটি আবেদনও করে। কিন্তু এ নিয়ে বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ হলে তাদেরকে আর অনুমতি দেয়নি প্রশাসন।

সীতাকুণ্ডের ইউএনও মো. শাহাদাত হোসেন বলেন, ‘সনাতন ধর্মাবলম্বীদের একটি প্রধান তীর্থ স্থান চন্দ্রনাথ ধাম। এখানে কোনো আয়োজনের মাধ্যমে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত আসুক, তা আমরা চাই না। তাই এখানে র‌্যাপেলিং করতে আমি অনুমতি দিইনি।’

সীতাকুণ্ড মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘চন্দ্রনাথে কোনো রকম র‌্যাপেলিং করতে দেওয়া হবে না। তীর্থভূমিতে এ ধরনের চেষ্টাও যদি কেউ করেন, সঙ্গে সঙ্গে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আমরা ইতোমধ্যে চন্দ্রনাথ ধামে পুলিশের টহল জোরদার করেছি।’

ডিজে

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!