বিনামূল্যের মুর্দা গোসলখানায় চমেকের তালা—কেন বেআইনি নয়, জানতে চেয়েছে হাইকোর্ট

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে এসে মারা যাওয়া দুস্থ ও গরীব রোগীদের লাশ বিনামূল্যে ধোয়া ও কাফন দেয়ার জন্য একটি আধুনিক মুর্দা গোসলখানা প্রতিষ্ঠা করেছিল এনজিও সংস্থা আলহাজ শামসুল হক ফাউন্ডেশন। নির্মাণের আগে অনুমতি দিলেও নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার পর সেই মুর্দা গোসলখানাটিতে তালা মেরে দেয় চমেক হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

বিষয়টি নিয়ে শেষমেশ আদালতের দ্বারস্থ হয় এনজিও প্রতিনিধি সংস্থাটি। চমেক হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে আলহাজ শামশুল হক ফাউন্ডেশনের করা রিটের শুনানি শেষে উক্ত প্রতিষ্ঠান পরিচালনায় বাধা প্রদানকে কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়েছে আদালত।

সোমবার (৬ ডিসেম্বর) বিচারপতি মামুনুর রহমান ও বিচারপতি খন্দকার দিলিরুজ্জামনের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ শুনানি শেষে আদালত স্থিতিবস্থার আদেশ দেন এবং উক্ত প্রতিষ্ঠান পরিচালনায় বাধা প্রদানকে কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না এই মর্মে বিবাদীগণকে রুল জারি করেন।

বিষয়টি চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে নিশ্চিত করেছেন এনজিও সংস্থাটির আইনজীবী এডভোকেট মোহাম্মদ আবু হানিফা। শামসুল হক ফাউন্ডেশন কর্তৃক দায়েরকৃত উক্ত রিট পিটিশনে চমেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এস এম হুমায়ূন কবির সহ সংশ্লিষ্ট অন্যদের বিবাদী করে সংবিধানের ১০২ ধারায় রিট মামলাটি দায়ের করা হয়।

শামসুল হক ফাউন্ডেশনকে আইনি সহায়তা দেয়া মানবাধিকার সংস্থার আইনজীবী এডভোকেট জিয়া হাবীব আহসান চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘চমেক হাসপাতালে দীর্ঘদিন ধরে একটা সিন্ডিকেট আছে যারা লাশের গোসল দাফন দেয়ার বিনিময়ে টাকা হাতিয়ে নেয়। এসব হয়রানির কারণেই শামসুল হক ফাউন্ডেশন সেখানে লাশ ধোয়ার ঘর নির্মাণের উদ্যোগ নেয়।

তারা সেখান থেকে গরীব দুস্থদের বিনামূল্যে গোসল ও কাফনের কাপড় দিবে এমন কথা ছিল। এই সম্পর্কিত একটি সাইনবোর্ড লাগানোর পরই তাদের লাশঘর থেকে সে সাইনবোর্ড ফেলে দিয়ে লাশঘরে তালা মেরে দেয় চমেক হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

এই ঘটনা নিয়ে শামসুল হক ফাউন্ডেশন আদালতের দ্বারস্থ হয়েছে। আজ আদালত সেই লাশঘর পরিচালনায় বাধা দেয়া কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন।

এআরটি/কেএস

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!