বিদেশ থেকে চাল কিনছে সরকার, এক লাখ টন ভারত থেকে

২০১৭ সালে সর্বশেষ বিদেশ থেকে চাল আমদানি করেছিল সরকার। এরপর এবার ডিসেম্বরে দুই প্যাকেজে এক লাখ টন চাল আমদানি করা হচ্ছে। এর মধ্যে এক লাখ টন এসে পৌঁছার পর আরও দেড় লাখ টন চাল আমদানি করার প্রক্রিয়া চূড়ান্ত করেছে খাদ্য মন্ত্রণালয়। দুই প্যাকেজের এক লাখ টন চাল এলো ভারত থেকে। তিন প্যাকেজে দেড় লাখ টন কোন্ দেশ থেকে আমদানি হবে সেটি এখন চূড়ান্ত হয়নি।

জানা গেছে, বুধবার (২৩ ডিসেম্বর) এমভি সেঁজুতি জাহাজে ভারতের কলকাতা বন্দর থেকে সরকারি চালের প্রথম চালান নিয়ে চট্টগ্রাম বন্দরে এসে পৌঁছায়। জাহাজটি বন্দরের নিউমুরিং কন্টেইনার টার্মিনাল (এনসিটি) ৪ নম্বর জেটিতে জাহাজটি ভিড়ে। এ জাহাজে চাল রয়েছে চার হাজার ১১৩ টন।

সূত্রমতে, সরকার এর আগে দেশীয় পর্যায়ে কৃষক থেকে চাল কিনেছিল। ২০১৭ সালের পর থেকে বিদেশ থেকে কোনো চাল আমদানি করতে হয়নি সরকারকে। দেশে কৃষক থেকে কেনা চাল দিয়েই সরকারি চাহিদা মেটানো হয়েছিল।

এবারও অভ্যন্তরীণ বাজার থেকে ২৬ টাকা দামে ধান ও ৩৭ টাকা দামে সিদ্ধ চাল এবং ৩৬ টাকা দামে আতপ চাল কেনার কর্মসূচি নেয় সরকার। কিন্তু আমন মৌসুমে লক্ষ্য পূরণ না হওয়া এবং স্থানীয় বাজারে চালের দাম বেড়ে যেতে থাকায় সরকার শেষ পর্যন্ত চাল আমদানির দিকে ঝুঁকে পড়ে।

এবার বোরো মৌসুমে ধানের বাম্পার ফলন হলেও মিল মালিকরা চুক্তিমূল্যে সরকারকে চাল সরবরাহ করেনি। চালকল মালিকরা সরকারকে চাল না দিলে প্রয়োজনে আমদানি করা হবে বলে বেশ কিছু দিন ধরেই হুঁশিয়ার করে আসছিলেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার।

চলতি বছর সাড়ে ১৯ লাখ মেট্রিক টন বোরো ধান-চাল কেনার লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করেছিল সরকার। সে অনুযায়ী ৩৬ টাকা কেজি দরে মিলারদের কাছ থেকে ১০ লাখ মেট্রিক টন সিদ্ধ চাল, ৩৫ টাকা কেজিতে দেড় লাখ মেট্রিক টন আতপ চাল এবং সরাসরি কৃষকদের কাছ থেকে ২৬ টাকা কেজিতে আট লাখ মেট্রিক টন বোরো ধান কেনার কথা ছিল।

মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলছেন, কোভিড-১৯ সংক্রমণ পরিস্থিতিতে কিছু মিল মালিক ৩৬ টাকা কেজি দরে চাল সরবরাহ করতে গড়িমসি করে সরকারের কাছে চালের দাম বাড়ানোর দাবি তোলে। অনেক মিল মালিক এখন চুক্তিমূল্যে চাল না দেওয়ায় মজুদের লক্ষ্য পূরণ করা নিয়ে বিপাকে পড়েছে সরকার। এ কারণে ২০১৭ সালের পর এবার ভারত থেকে চাল আমদানি করলো সরকার।

চট্টগ্রাম আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক মো. জহিরুল ইসলাম খান চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, সরকারের চাল আমদানি এটি ধারাবাহিক প্রক্রিয়া। এর আগে স্থানীয় কৃষক থেকে চাল কিনেছিল। এবার বিদেশ থেকে কিছু চাল আমদানি করছে। তবে কৃষক থেকে চাল কেনাও অব্যাহত চালু রেখেছে সরকার।

এএস/সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!