বিদেশে টাকা পাচারের আভাস, সফটওয়্যারে ‘লক’ দুই চালান

চীন থেকে ৬ হাজার ৬২৯ ডলার ব্যয়ে প্রায় ৮৩ হাজার টন ওজনের ‘পাইপ পাইল মেশিন’ কেনার এক চালান এবং ২ লাখ ৪০ হাজার ডলার ব্যয়ে ১ লাখ ৪৬ হাজার ৭১৭ কেজি ওজনের ‘মেক্সিং স্টেশন’ নামে শুধুমাত্র একটি মেশিনের অপর এক চালানের মাধ্যমে বিদেশে অর্থপাচারের (মানিলন্ডারিং) ঘটনা ঘটেছে বলে সন্দেহ করছে চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউস। এ অবস্থায় চালান দুটি ‘লক’ করে পরীক্ষার নির্দেশ দিয়েছেন কাস্টমস হাউসের কমিশনার মো. ফখরুল আলম।

জানা গেছে, ২০ জানুয়ারি কাস্টমস হাউসে বিল অব এন্ট্রি দাখিল করা হয় এ দুটি চালানের। চালানের একটি বিল অব এন্ট্রি মাত্র ৬ হাজার ৬২৯ ডলার ব্যয়ে চায়না থেকে প্রায় ৮৩ হাজার টন ওজনের পাইপ পাইল মেশিন কেনার কথা উল্লেখ করা হয়।

অপর একটি বিল অব এন্ট্রিতে ২ লাখ ৪০ হাজার ডলার ব্যয়ে ১ লাখ ৪৬ হাজার ৭১৭ কেজি ওজন দেখিয়ে ‘মেক্সিং স্টেশন’ নামে শুধুমাত্র একটি মেশিন কেনার কথা উল্লেখ করা হয়।

এ দুই বিল অব এন্ট্রির আমদানিকারক ‘আরপিসিএল নরিনকো ইন্টারন্যাশনাল পাওয়ার লিমিটেড’ ঢাকা ১২৩০ ১/বি ০৯ ঠিকানার। ওই মেশিন ছাড়ের জন্য বিল অব এন্ট্রি দাখিল করে চট্টগ্রামের আগ্রাবাদের শেখ মুজিব রোডের কাশফিয়া প্লাজার মনথুনা এজেন্সি। সোমবার (২০ জানুয়ারি) সিএন্ডএফ মনথুনা এজেন্সি ওই চালান খালাসের জন্য বিল অব এন্ট্রি (সি নং ১৩০২৯৩) ও (সি নং ১৩০২৯১) দাখিল করে চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসে। মেশিনগুলো চায়না ওয়ানবাও ইঞ্জিনিয়ারিং কর্পোরেশন, বেইজিং থেকে ‘এমভি ওশান ফেদার’ জাহাজে করে চট্টগ্রাম বন্দরে আসে।

চালান দুটি বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) কাস্টমসের বিশেষায়িত সফটওয়্যার অ্যাসাইকুডা ওয়ার্ল্ডে লক করে তদন্তের জন্য দায়িত্ব দেওয়া হয় কাস্টমস অডিট ইনভেস্টিগেশন অ্যান্ড রিচার্জ (এআইআর) শাখাকে।

চালান দুটির বিষয়ে জানতে চাইলে কাস্টমস কমিশনার মো. ফখরুল আলম চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘আমার কাছে গোয়েন্দা তথ্য ছিল। তাই চালানগুলো লক করতে বলেছি। চট্টগ্রাম কাস্টমসে শুল্ক ফাঁকি দিয়ে পণ্য ছাড় নেওয়ার সুযোগ নেই। ওই চালানের যথাযথ এসেসমেন্ট করে শুল্ক নির্ধারণ করা হবে। চালানে শুল্ক ফাঁকি দেওয়া হলে জড়িতদের বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন ২০১২ (সংশোধনী ২০১৫) অনুযায়ী মামলা দায়ের হবে।’

এএস/এসএ

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!