বিতর্ক পিছু ছাড়ছে না চবি’র ভর্তি পরীক্ষার—এবার জালিয়াতি করে উত্তীর্ণ দুইজন

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) ভর্তি পরীক্ষা না দিয়েও এক শিক্ষার্থী উত্তীর্ণ হওয়ার পর এবার জালিয়াতির মাধ্যমে ডি ইউনিটে দুইজন উত্তীর্ণ হওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এদের মধ্যে একজন ৭৯তম ও অপরজন ২৪৯তম হয়েছেন বলে জানা যায়।

বুধবার (১ ডিসেম্বর) জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষায় জালিয়াতি করে উত্তীর্ণ হওয়া এক ভর্তিচ্ছুকে আটক করার পর তার জবানবন্দিতে এই তথ্য বেরিয়ে আসে।

জানা যায়, বুধবার বেলা ১১টায় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষার সাক্ষাৎকার চলাকালে গোপন তথ্যের ভিত্তিতে মোস্তফা কামাল (১৯) নামে এক শিক্ষার্থীকে আটক করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে সে জানায় তার দুই বন্ধু আশিক হোসাইন ও ফরহাদ হোসাইন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘ডি’ ইউনিটে জালিয়াতির মাধ্যমে ভর্তি হয়েছে। ‘ডি’ ইউনিটে তাদের মেধাক্রম ছিলো ৭৯ ও ২৪৯।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী মেহেদী ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ১২ ব্যাচের শিক্ষার্থী শামীমের মাধ্যমে তারা ভর্তি হয়েছে। একই মাধ্যমে চার লাখ টাকার চুক্তিতে সেও চান্স পায়।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর আ স ম ফিরোজ উল হাসান চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, আমরা গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ওই শিক্ষার্থীকে আটক করি। জিজ্ঞাসাবাদে সে জানায় তার পরীক্ষা অন্য কেউ দিয়েছে৷ সে পরীক্ষায় অংশ নেয়নি।

একই প্রক্রিয়ায় তার দুই বন্ধু চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পেয়েছে। আমাদের আইন কর্মকর্তা বিষয়টি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টরকে জানিয়েছেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ‘ডি’ ইউনিটের কো-অর্ডিনেটর অধ্যাপক ড. মুস্তাফিজুর রহমান ছিদ্দিকী চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, বিষয়টি আমি শুনেছি। আগামীকাল খোঁজ খবর নিবো।

প্রসঙ্গত, গত ৩০ ও ৩১ অক্টোবর চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘ডি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। পরীক্ষার ফলাফল ঘোষণা নিয়ে নানা নাটকীয়তার সৃষ্টি হয়।

কেএস

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!