উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) পরীক্ষায় চট্টগ্রাম বিজ্ঞান কলেজ থেকে এবার ২০৪ জন পরীক্ষার্থী অকৃতকার্য হয়েছে। বেসরকারি পর্যায়ে সেরা কলেজের দাবিদার এই কলেজ থেকে জিপিএ-৫ পেয়েছে মাত্র তিনজন।
এ ব্যাপারে কলেজ অধ্যক্ষ জাহেদ খান চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘এ বছর আমাদের কলেজ থেকে নিয়মিত-অনিয়মিত মিলে ৬৭৯ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল। এর মধ্যে নিয়মিত শিক্ষার্থী ছিল ৩০০ জন। অন্যরা অনিয়মিত এবং তিন বছরের পুরাতন শিক্ষার্থীও আছে। তাদের রেজিস্ট্রেশনের মেয়াদ নিয়ে জটিলতা থাকায় আমরা তাদের পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার সুযোগ দিয়েছি। কলেজ থেকে এবার মোট ৪৭৫ জন শিক্ষার্থী পাস করেছে।’
চট্টগ্রামের ‘বেসরকারি পর্যায়ে সেরা কলেজের’ দাবিদার এই কলেজ থেকে জিপিএ-৫ পেয়েছে তিন জন। এ ব্যাপারে জাহেদ খান বলেন, ‘চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের অনেক সরকারি কলেজের ফলাফল আমাদের চেয়ে খারাপ। অথচ ওসব প্রতিষ্ঠানে এসএসসিতে জিপিএ-৫ ছাড়া ভর্তি করানো হয় না। এই ব্যাচে মাত্র তিনজন জিপিএ-৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থী ভর্তি হয়েছিল আমাদের কলেজে।’
অতিরিক্ত টিউশন ফি, পরীক্ষা ফি আদায়সহ নানা কারণে চট্টগ্রাম বিজ্ঞান কলেজ বরাবরই সমালোচিত। গত বছরের ৮ এপ্রিল এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের ‘জিম্মি করে অর্থ আদায়’ করায় চট্টগ্রাম বিজ্ঞান কলেজের অধ্যক্ষ জাহেদ খানের শাস্তি দাবি করে মানববন্ধন হয়েছিল। চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের সামনে শ্যামলী আইডিয়েল টেকনিক্যাল কলেজ, চট্টগ্রাম বিজ্ঞান কলেজ ও এনআইটি প্রবর্তক স্কুল অ্যান্ড কলেজসহ নগরীর তিনটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন, চট্টগ্রাম বিজ্ঞান কলেজের শিক্ষার্থীদের এইচএসসির প্রবেশপত্র আটকে প্রত্যেকের কাছ থেকে পাঁচ হাজার টাকা ৪৬ লাখ টাকা অতিরিক্ত ফি নেওয়া হয়। এর আগে ওই বছরের গত ৩১ মার্চ মহানগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নুরুল আজিম রনি চকবাজার থানায় অধ্যক্ষ জাহেদ খানের বিরুদ্ধে অতিরিক্ত অর্থ নেওয়া এবং বিজ্ঞান কলেজের ছাত্রদের অন্য কলেজের নামে রেজিস্ট্রেশন করানোর ঘটনায় প্রতারণার অভিযোগ এনে মামলা করেন।
এফএম