বিজিএমইএ নেতার ‘ফ্যাশন ওয়াচে’ শ্রমিক অসন্তোষ, বিক্ষোভ

করোনা সংক্রমণের মাঝেও মালিকের কোটি টাকা লাভ ঘরে তুলে দিতে জীবনের ঝুঁকি নিয়েছিল ওই কারখানার শ্রমিকরা। এর মধ্যে একদিন শুধু তারা কাজে আসতে পারেনি। শ্রমিকরা বলেছিল, পরের শুক্রবার সে কাজ পুষিয়ে দিবে। কিন্তু রমজান চলে আসায় তা সম্ভব হয়ে উঠেনি তাদের। আর এ কারণে ওই একদিনের বেতন কেটে নিতে চায় কারখানা কর্তৃপক্ষ। এ খবর শুনেই বিক্ষোভ ফেটে পড়ে শ্রমিকরা।

শুক্রবার (৮ মে) সকাল থেকে চট্টগ্রাম নগরীর ডবলমুরিং থানার ডিটি রোডের আসকারাবাদ এলাকায় ফ্যাশন ওয়াচ নামে একটি পোশাক কারখানার শ্রমিকরা এ বিক্ষোভ করেছে।

জানা গেছে, ফ্যাশন ওয়াচ লিমিটেড বিজিএমইএ’র প্রথম সহ-সভাপতি এমএ সালামের মালিকানাধীন এশিয়া এপ্যারেলসের সহযোগী প্রতিষ্ঠান।

শ্রমিক বিক্ষোভের মুখে ওই কারখানা ম্যানাজারকে প্রত্যাহার করার পর দুপুরে শ্রমিকরা কাজে যোগ দেয়। ওই কারখানায় প্রায় চার হাজার শ্রমিক কাজ করে বলে জানিয়েছে শিল্প পুলিশ।

জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করা ফ্যাশন ওয়াচের শ্রমিকরা একদিন কাজে আসতে না পারায় বেতন কেটে নিতে চায় কারখানা কর্তৃপক্ষ
জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করা ফ্যাশন ওয়াচের শ্রমিকরা একদিন কাজে আসতে না পারায় বেতন কেটে নিতে চায় কারখানা কর্তৃপক্ষ

কয়েকজন শ্রমিক জানায়, করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে সরকার ঘোষিত সাধারণ ছুটিতেও তারা কারখানায় কাজ করেছেন। একদিন শুধু আসতে পারেননি। পরের শুক্রবার কাজগুলো করে দেওয়ার কথা শ্রমিকদের। কিন্তু রমজান চলে আসায় পরের শুক্রবার শ্রমিকদের পক্ষে আসা সম্ভব হয়নি। এতেই ওই একদিনের বেতন কেটে নেওয়ার উদ্যোগ নেয় কারখানার ম্যানেজার। যেটা সম্পূর্ণ অমানবিক। তাই তারা ম্যানেজারের পদত্যাগ দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন। পরে কারখানার মালিক বিজিএমইএ’র সহ সভাপতি এমএ সালাম এসে ম্যানেজারকে প্রত্যাহার করে নেন।

বিক্ষোভের বিষয়ে জানতে চাইলে শিল্পপুলিশের এক কর্মকর্তা চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘এপ্রিল মাসে সাধারণ ছুটি চলাকালে একদিন কাজ করা থেকে বিরত থাকে শ্রমিক। পরের শুক্রবার ছুটির দিন তারা ওই দিনের কাজ করে দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু শ্রমিকরা পরের শুক্রবার আর সে দিনের কাজ করে দেয়নি। কারখানা ম্যানেজার তাই এক দিনের বেতন বাদ দিয়ে এপ্রিলের বেতন হিসেব করছে এমন খবর শুনে শ্রমিকরা বিক্ষোভ করে। পরে আমাদের টিম উভয় পক্ষের সাথে কথা বলে বিষয়টির সমাধান করে। এরপর শ্রমিকরা শান্ত হন।’

বিজিএমইএ’র প্রথম সহ-সভাপতি এমএ সালাম চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘কারখানার শ্রমিকরা ম্যানেজারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করছে শুনে আমি কারাখানায় আসি। ম্যানেজমেন্ট ও শ্রমিকদের সাথে কথা বলে আমি ম্যানেজারকে প্রত্যাহার করেছি। শ্রমিকরা এরপর কাজে যোগ দিয়েছে।’

এফএম/এমএফও

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!