বিকাশে হিসাব খোলা নিয়ে গ্রাহক হয়রানি বন্ধ ও বিজ্ঞাপনের সাথে কাজের মিল রাখার দাবি-ক্যাব

প্রতিদিন রিপোর্ট :

টাকা লেনদেন ব্যাংক, কুরিয়ার, পোস্ট অফিসগুলির চরম ব্যার্থতার পর বিকাশ নামে নতুন আর্থিক সেবা চালু হলেও সাধারন জনগনের ভোগান্তি কমেনি।

bkash_logo

সহজ লেনদেনের কারনে বিকাশ অনেক জনপ্রিয় হলেও হিসাব খোলার জন্য ভোটার আইডি কার্ডের রঙ্গিন ফটো কপি দাখিলসহ নানা ভোগান্তির কথা বলে জনপ্রিয় এ সেবাটিকে আবারও কঠিন বিপত্তির মুখে ঠেলে দেয়ার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে দেশের ক্রেতা-ভোক্তাদের স্বার্থসংরক্ষণকারী প্রতিষ্ঠান কনজুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) চট্টগ্রাম বিভাগ ও নগর কমিটি।

 

জনপ্রিয় এ আর্থিক সেবায় অধিক মানুষের অংশগ্রহন ও সেবা নেবার পথ সহজ করা এবং বিজ্ঞাপনের সাথে কাজের মিল রাখার দাবি জানিয়ে হিসাব খোলার জন্য রঙ্গিন ভোটার আইডির কপি সহ নানা শর্ত সহজ করে এজেন্টদের কাছে জরুরী সার্কুলার জারির দাবি জানিয়েছেন এ সংস্থাটি।

 

তারা বলছে, বিকাশ গ্রাহকদের হিসাবে খোলায় ভোগান্তি নিয়ে অনেকগুলি গ্রাহক এর অভিযোগের প্রেক্ষিতে এক বিবৃতিতে বিকাশ কর্তৃপক্ষে সহজে হিসাব খোলা ও লেনদেনের সহজ উপায়সহ নানা সুবিধার কথা বলে গ্রাহককে প্রলুদ্ধ করে বাহারী বিজ্ঞাপন দেয়া হলেও প্রকৃতপক্ষে গ্রাহকরা প্রতারিত ও ভোগান্তির শিকার হরে তাৎক্ষনিক ব্যবস্থার ঘাটতির কারনে জনপ্রিয় এ সেবাটি পুরোপুরি ব্যার্থতায় পর্যবশিত হতে চলেছে। সেদিকে কর্তৃপক্ষকে অবহিত করার পরও কর্ণপাত করেনি।

 

অন্যদিকে গ্রাহক স্বার্থ দেখার উদাসীনতা ও লুটপাটের স্বর্গ রাজ্য বানানোর প্রক্রিয়ায় যেভাবে আধুনিক ব্যাংকিং সেবা সার্ভিস মুখ থুবড়ে পড়ে আছে, সেভাবে বিকাশের এ ধরনের হাটকারী আচরণের কারনে সাধারন মানুষ বিকাশ বিমুখ হয়ে পড়বে বলে মন্তব্য করে এ ধরনের ঘটনা সাধারন জনগনের মাঝে বর্তমান সরকারের অনেকগুলি অর্জনের উপর বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্ঠি করবে মত প্রকাশ করা হয়।

 

বিবৃতিতে ক্যাব নেতৃবৃন্দ বলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গর্ভনর ডঃ আতিউর রহমান ব্যাংক ও আর্থিক ব্যবস্থাকে সাধারন জনগনের দোরগোড়ায় নিয়ে যাবার জন্য অনেকগুলি যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন বিকাশ তার অন্যতম ছিল। মোবাইল ব্যাংকিং সারা বিশ্বে প্রশংসা কুড়িয়েছিল।

 

কিন্তু বর্তমান প্রশাসনের কারনে সাধারন মানুষ আবার এ সেবা বিমুখ হচ্ছে। আর আর্থিক প্রতিষ্ঠানের গ্রাহক স্বার্থ ও হয়রানি প্রতিরোধে মাঝপথে বাংলাদেশ ব্যাংক এর নজরদারি বাড়ানো উচিত এবং এর নেপত্ত্যদের শাস্তির আওতায় আনা উচিত বলে মন্তব্য করেন।

 

বিবৃতিতে যারা স্বাক্ষর করেন তারা হলেন ক্যাব কেন্দ্রিয় নির্বাহী কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট এস এম নাজের হোসাইন, ক্যাব চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাধারন সম্পাদক কাজী ইকবাল বাহার ছাবেরী, ক্যাব মহানগরের সভাপতি জেসসিন সুলতানা পারু, সাধারন সম্পাদক অজয় মিত্র শংকু, ক্যাব চট্টগ্রাম দক্ষিন জেলা সভাপতি আলহাজ্ব আবদুল মান্নান প্রমুখ।

 

রিপোর্ট : রাজীব প্রিন্স

এ এস / জি এম এম / আর এস পি :::

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!