বিকাশের টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনায় এক আসামির ১০ বছর কারাদণ্ড

চট্টগ্রাম নগরীর চান্দগাঁও এলাকায় মোবাইল ব্যাংকিং বিকাশের স্টাফ মো. মেহেদীর কাছ থেকে টাকা ছিনতাইয়ের মামলায় জসিম উদ্দিন (৩২) নামে এক ব্যক্তিকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।

আদালতে আসামির স্বীকারোক্তি প্রদান এবং প্রায় সাড়ে পাঁচ বছরে ৯ জন স্বাক্ষীর স্বাক্ষ্য গ্রহণ ও শুনানি শেষে চট্টগ্রাম মহানগর বিশেষ ট্রাইবুনালের বিচারক মো. আমিরুল ইসলামের আদালত এই দণ্ডাদেশ প্রদান করেন। সাজাপ্রাপ্ত জসিম উদ্দিন নোয়াখালীর সুধারাম উপজেলার মৃত নাছির উদ্দিনের ছেলে।

মঙ্গলবার (১৫ সেপ্টেম্বর) এ মামলার পূর্ণাঙ্গ আদেশ দেওয়া হলেও এই মামলার রায় ঘোষণা করা হয়ে গত ১০ সেপ্টেম্বর।

মামলায় রাষ্ট্র পক্ষের আইনজীবী ও অতিরিক্ত পিপি এডভোকেট মোহাম্মদ ইউসুফ চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘মামলায় আমরা আসামির অপরাধ প্রমাণ করতে পেরেছি। মাননীয় আদালত সব কিছু বিবেচনায় নিয়ে আসামিকে ১০ বছরের কারাদণ্ডাদেশ প্রদান করেছেন৷ আসামি চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে আটক রয়েছেন।’

আসামি পক্ষের আইনজীবী মো. ইসহাক বলেন, ‘আসামি ২০১৫ সালে ১২ এপ্রিল থেকে কারাগারে রয়েছেন। তিনি প্রায় সাড়ে পাঁচ বছর হাজতবাস করেছেন। আমরা উচ্চ আদালতে আপিল করবো।’

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২০১৫ সালের ১২ এপ্রিল দুপুর পৌনে ৩টায় বিকাশের এজেন্টদের কাছ থেকে সাত লাখ চল্লিশ হাজার পাঁচ’শ টাকা সংগ্রহ করে মেহেদী টেম্পু যোগে সিএন্ডবি এলাকা থেকে চান্দগাঁও আবাসিক এ-ব্লকে যাচ্ছিলেন। যাত্রী উঠানামা করতে শরাফত উল্লাহ পেট্রোল পাম্প এলাকায় টেম্পু থামলে আসামি জসিম উদ্দিন ও তার সহযোগীরা টেম্পু থেকে মেহেদীকে নামিয়ে প্রথমে কুপিয়ে আহত করে এবং টাকা ভর্তি ব্যাগ ছিনিয়ে নেয়। পরে মাথায় অস্ত্র ঠেকিয়ে তার গেঞ্জির ভেতর থাকা আরো এক লাখ ত্রিশ হাজার টাকা ছিনতাই করে।

চান্দগাঁও থানার এসআই মো. ছমিউদ্দিন ও গোলাম মো. নাসিম এই ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলার ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে জসিম উদ্দিনকে আটক করেন। জসিমের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। জসিম উদ্দিন অপরাধ স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছিলেন। বিকাশের ডিস্ট্রিবিউটর মো. শাহ আলম ছিলেন এ মামলার বাদি।

এফএম/এমএফও

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!