বিএনপি নেতার নেতৃত্বে ১৫একর বনাঞ্চল দখল! পেকুয়া থানায় বনবিভাগের এজাহার দায়ের

পেকুয়া (চকরিয়া) প্রতিনিধি  :

কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলায় উপকূলীয় বন বিভাগের জায়গা জবর দখল করে লবণ মাঠ তৈরীর অভিযোগে উজানটিয়া ইউনিয়ন বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম চৌধুরী মিন্টুর ও স্থানীয় সাত প্রভাবশালীর বিরুদ্ধে পেকুয়া থানায় এজাহার দায়ের করেছে বনবিভাগ। পেকুয়া থানায় বিগত কয়েকদিন পূর্বে এজাহারটি দায়ের করেছেন উপকূলীয় বন বিভাগের পেকুয়া উপজেলার মগনামা বনবিট কর্মকর্তা মো. নিজাম উদ্দিন।

%e0%a6%be

 

এজাহারে আসামী করা হয়েছে, উপজেলার পশ্চিম উজানটিয়া গ্রামের এলাকার আলতাফ হোসেনের পুত্র ও উজানটিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সেক্রেটারী রেজাউল করিম চৌধুরী মিন্টু(৪৫), একই এলাকার মৃত আলা উদ্দিনের পুত্র নাজেম উদ্দিন(৫২), মৃত মৌলভী সাইফুল হকের পুত্র যুবদল নেতা মোঃ এহেসান(৪২), আকতার কামাল চৌধুরীর পুত্র জিয়া মোঃ নুর ছত্তর ওরফে শিমুল(৩২), মৃত ফারুক আহমদের পুত্র আবদুল খালেক(৩১) ও মৃত মাহাবুব আলীর পুত্র মোক্তার(৩৮)সহ আরো এক প্রভাবশালী(৪৫) এর নাম উল্লেখ করে এজাহার দায়ের করেন। এতে আরো ১২০-১৩০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামী করা হয়েছে।

 

মামলার এজাহারে মগনামা বনবিট কর্মকর্তা উল্লেখ করেন, গত ৪ নভেম্বর সকাল ১০টার দিকে তিনি সঙ্গীয় স্টাফসহ উজানটিয়া মৌজায় টহল প্রদানকালে দেখতে পান যে, এজাহারে উল্লেখিত ১নং আসামীর নির্দেশে অন্যান্য আসামীরা বেআইনীভাবে বন বিভাগের জায়গায় প্রবেশ করে মাটি কেটে লবণ মাঠ উপযোগী করতে বন বিভাগের জায়গায় পূর্ব পশ্চিম ৫০০ফুট দৈর্ঘ্য ও ৪ ফুট প্রস্থ ও ৩ ফুট উচ্চতা বিশিষ্ট বাঁধ নির্মাণ করেছেন। এসময় তাদেও মৌখিকভাবে বাঁধা দিলে তারা কোন কর্ণপাত করেননি।

 

মামলার এজাহারে বনবিভাগ আরো উল্লেখ করেন, উজানটিয়া মৌজার ১নং খতিয়ানে ১৫একর পরিমিত এলাকা প্রাকৃতিক দূর্যোগ থেকে রক্ষাকল্পে বনায়নের নিম্মিতে বন বিভাগের নামে গত জুলাই ৫/২০১২ইংরেজী তারিখে গেজেট প্রকাশিত হয়। ওই প্রভাবশালীরা সরকারী গেজেট অমান্য করে বনবিভাগের ওই জায়গা জবর দখল করে লবণ মাঠ তৈরী করছেন।

 

উপকুলীয় বন বিভাগের মগনামা বনবিট কর্মকর্তা নিজাম উদ্দিন বলেন, এজাহারে উল্লেখিত আসামীরা বন বিভাগের জায়গায় অবৈধভাবে প্রবেশ করে মাটি কেটে বাঁধ নির্মাণ করায় ভূমির অবয়ব নষ্ট হয়ে পরিবেশের ভারসাম্য বিনষ্ট হয়েছে। পাশাপাশি তারা বনভূমির পরিবেশগত ও অন্যান্য ক্ষয়ক্ষতি মিলিয়ে প্রায় ১লক্ষ ৯০হাজার টাকা ক্ষয়ক্ষতি সাধন করেছেন। তাদের বিরুদ্ধে থানায় ইতিমধ্যেই এজাহার দায়ের করা হয়েছে।

 

উপকূলীয় বনবিভাগের চনুয়া রেঞ্জের অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকা কুতুবদিয়ার রেঞ্জ কর্মকর্তা অসীত কুমার পাল জানান, উজানটিয়া বনবিভাগের জায়গা জবর দখলদারদের কোন ভাবেই ছাড় দেওয়া হবেনা। সরকারী সর্ম্পদ ও স্বার্থ রক্ষায় প্রয়োজনীয় সবকিছু করবে বনবিভাগ।

 

পেকুয়া থানার ওসি জিয়া মোঃ মোস্তাফিজ ভূঁইয়া বনবিভাগের এজাহারের বিষয়ে জানান, বনবিভাগকে তাদের জায়গার স্বপক্ষে প্রামাণাদি বা কাগজপত্র থানায় আনতে বলেছি। যাচাই বাচাই করেই আইনগত ব্যবস্থা গহণ করা হবে বলে।

 

এ এস / জি এম এম / রাজীব প্রিন্স :

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!