‘বিএনপির মেয়র’ মনজুর আলম আগস্ট এলেই ‘আওয়ামী লীগ’!

মোহাম্মদ মনজুর আলম। শুরুটা আওয়ামী লীগের রাজনীতি দিয়ে। টানা ১৬ বছর আওয়ামী লীগের সমর্থন নিয়েই নিজ এলাকা উত্তর কাট্টলী থেকে নির্বাচিত হন কাউন্সিলর। এরপর আদর্শের বিপরীত মেরুতে দাঁড়িয়ে দলবদল করে ২০১০ সালের ১৭ জুন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) নির্বাচনে বিএনপির সমর্থন নিয়ে মেয়রও নির্বাচিত হন। পাঁচ বছর দায়িত্ব পালন শেষে বিএনপির সমর্থনে দ্বিতীয়বারের মত মেয়র পদে ভোটযুদ্ধে অবতীর্ণ হন ২০১৫ সালের ২৮ এপ্রিল। তবে ভোটের মাঝপথেই ভোট কারচুপির অভিযোগ তুলে নির্বাচন বর্জনের পাশাপাশি রাজনীতি থেকেও সরে আসার ঘোষণা দেন মনজুর আলম।

তবে আওয়ামী লীগ কিংবা বিএনপির কোনও রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে নিজেকে সম্পৃক্ত না রাখলেও এরপর থেকে আগস্ট মাস আসলেই নানা কর্মসূচি নিয়ে সরব হয়ে উঠেন মোহাম্মদ মনজুর আলম। মোস্তাফা হাকিম গ্রুপের এ কর্ণধার চট্টগ্রামের নামকরা শিল্পপতি—সদালাপী ও বিনয়ী হিসেবেও পরিচিত। মনজুর শোকের মাস আসলেই কখনও ‘বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মেমোরিয়াল ফাউন্ডেশন’ আবার কখনও পারিবারিকভাবে প্রতিষ্ঠিত বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ব্যানার থেকে মেতে উঠেন বঙ্গবন্ধু বন্দনায়।

এরকমই সোমবার (৫ আগস্ট) তাহের মনজুর ইসলামিয়া সুন্নিয়া মাদরাসায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৪তম শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে স্মরণ সভা ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথি হিসেবে অংশ নিয়েছেন তিনি। এসময় বিএনপির সাবেক মেয়র মনজুর আলম বলেন, ‘সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আজ আমাদের মাঝে নেই। কিন্তু তার কালজয়ী সেই ৭ মার্চের ভাষণ বাঙালি জাতিকে এখনও অনুপ্রেরণা দেয়। দেশপ্রেমের যে নিদর্শন তিনি দেখিয়ে গেছেন, এ দেশের মানুষ তা আজীবন স্মরণ করবে।’

সোমবার জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে স্মরণ সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে অংশ নেন মনজুর আলম
সোমবার জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে স্মরণ সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে অংশ নেন মনজুর আলম

বিএনপির সাবেক মেয়র ও বিএনপি চেয়ারপার্সনের সাবেক এ উপদেষ্টার এই ‘বঙ্গবন্ধু প্রীতি’ নিয়ে সরাসরি কোনও মন্তব্য না করলেও এর উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন নগর আওয়ামী লীগের শীর্ষ পর্যায়ের একাধিক নেতা। তাদের ধারণা, সামনের মেয়র নির্বাচনকে কেন্দ্র করেই মনজুর আলম এসব করছেন। কেউ কেউ বলছেন, নির্বাচন ঘনিয়ে আসলেই তিনি বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে থাকেন।

২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে চট্টগ্রাম-৪ (সীতাকুণ্ড) ও চট্টগ্রাম-১০ (পাহাড়তলী-হালিশহর) আসনের প্রার্থী হতে ধানমণ্ডির আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর অফিসে গিয়ে মনোনয়ন ফরমও কিনেছিলেন মনজুর আলম। অনেক তদবির করার পরও মনোনয়ন জোটেনি বিএনপির সাবেক এ মেয়রের। চট্টগ্রাম-৪ আসনে মনজুরের আপন ভাইয়ের ছেলে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য হওয়ায় তাঁর আগ্রহ ছিল চট্টগ্রাম-১০ (হালিশহর-পাহাড়তলী) আসনে। তবে শেষ পর্যন্ত ওই আসন থেকে টানা তিনবারের নির্বাচিত সংসদ সদস্য ও নগর আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি ডা. আফসারুল আমীনই মনোনয়ন পান ওই সময়।

আগস্ট মাস আসলেই মনজুর আলমের ‌‘বঙ্গবন্ধু বন্দনা’ সম্পর্কে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে ডা. আফসারুল আমীন এমপি চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘রাজনৈতিক ব্যক্তিদের নিয়েই রাজনৈতিক ব্যক্তিরা আলোচনা-সমালোচনা করতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে থাকে। এখন আপনি যার বিষয়ে জানতে চেয়েছেন তিনি সেই ক্যাটাগরিতে পড়েন কিনা আপনিই বলুন? এখন কেউ যদি ক্ষমতার লোভে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বর্জন করার পর আবার বঙ্গবন্ধুপ্রেমী হয়ে উঠেন তা রহস্যজনক ও হাস্যকর। এরপরও উনাকে (মনজুর আলম) নিয়ে আমার মন্তব্য করার ইচ্ছা নেই।’

গুঞ্জন আছে, গত সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন না পেলেও নতুন করে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন নিয়ে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনে মেয়র পদে নির্বাচন করার চেষ্টা করছেন মনজুর আলম। এ চেষ্টার কথাটি অবশ্য স্বীকারও করেছেন তিনি।

এ নিয়ে সাবেক মন্ত্রী ডা. আফসারুল আমীন বলেন, ‘কথা বলতে চাইছিলাম না। এরপরও বলতে হয়। তিনি তো আদর্শবিবর্জিত একজন রাজনীতিক। ওয়ান ইলেভেনের সময় তার কী ভূমিকা ছিল তা সকলেই জানেন। এছাড়া তিনিই একমাত্র ব্যক্তি ক্ষমতার লোভে আওয়ামী লীগ ছেড়ে বিএনপি থেকে মেয়র হয়েছিলেন। আবার সেই ব্যক্তিই যদি আওয়ামী লীগের থেকে মেয়র হতে চান তা হাস্যকর।’

হালিশহর-পাহাড়তলীর এ সংসদ সদস্য আরও বলেন, ‘আওয়ামী লীগে নেতাকর্মীর এতোই অভাব হয়নি যে, আদর্শবির্বজিত কাউকে এনে মেয়র নির্বাচন করাবে। এখন যদি কেউ বঙ্গবন্ধুর নাম বিক্রি করে তার নামে অনুষ্ঠান করেন তাহলে তিনি আওয়ামী লীগার হয়ে যাবেন কিংবা মেয়র নির্বাচন করতে পারবেন সেটা ভাবা বোকামি। আসল কথা হচ্ছে তিনি (মনজুর আলম) যে কোনও নির্বাচন আসলেই সরব হয়ে উঠেন। নির্বাচন করার জন্য নানা কাণ্ড করেন। গত সংসদ নির্বাচনে ব্যর্থ হয়ে এখন হয়তো মেয়র নির্বাচনের জন্য এমন করছেন। মূল কথা হচ্ছে, রাজনৈতিক আদর্শ থেকে না, যেদিকে ক্ষমতা সেদিকেই ভিড়েন মনজুর আলম।’

মনজুর আলম যে ওয়ার্ড থেকে আওয়ামী লীগের একক সমর্থন নিয়ে টানা ১৬ বছর কাউন্সিলর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন সেই উত্তর কাট্টলী ওয়ার্ডের বর্তমান কাউন্সিলর ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক অধ্যাপক নিছার উদ্দিন আহমেদ (মঞ্জু)। নগর আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সদস্য মঞ্জু বলেন, ‘মনজু সাহেব আমাদের এলাকা থেকে তিনবার কাউন্সিলর হয়েছিলেন আওয়ামী লীগের সমর্থনেই। কিন্তু পরে বিএনপি থেকে মেয়র হওয়ার পর তার সঙ্গে স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের কোনও যোগাযোগ নেই। গত ১১ বছর ধরে ওয়ার্ডের কোনও কর্মসূচিতে তাকে আমরা দাওয়াত দিই না। এখন উনি কী করলেন সেটা আমাদের দেখার বিষয় না। উনার সঙ্গে আওয়ামী লীগের কোনও সম্পর্ক নেই।’ তিনি আসলেই বিএনপি ত্যাগ করেছেন কিনা তা নিয়েও সন্দেহ পোষণ করেছেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের এ প্যানেল মেয়র।

১৯৯৪ সাল থেকে আওয়ামী লীগের সমর্থন নিয়ে টানা তিনবার নির্বাচনে জয়ী হয়ে ১৬ বছর কাউন্সিলরের দায়িত্ব পালন করেন মনজুর আলম। পরে ২০১০ সালের ১৭ জুন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) নির্বাচনে বিএনপির সমর্থন নিয়ে মেয়র পদে নির্বাচন করেন তিনি। প্রায় এক লাখ ভোটের ব্যবধানে মনজুরের কাছে হেরে যান তৎকালীন নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রয়াত এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী। ২০১৫ সালের ২৮ এপ্রিল অনুষ্ঠিত নির্বাচনে মনজুর আলম আবার বিএনপির সমর্থনে মেয়র প্রার্থী হলেও নির্বাচনের দিন সকালে কারচুপির অভিযোগ তুলে ভোট বর্জন করেন। এমনকি রাজনীতি থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণাও দেন বিএনপি চেয়ারপার্সনের সাবেক এ উপদেষ্টা।

বিএনপি থেকে 'পদত্যাগের' পর চট্টগ্রামের রাজনৈতিক অঙ্গনে গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়ে মনজুরকে আওয়ামী লীগে ফেরাতে আগ্রহী মহিউদ্দিন চৌধুরী।
বিএনপি থেকে ‘পদত্যাগের’ পর চট্টগ্রামের রাজনৈতিক অঙ্গনে গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়ে মনজুরকে আওয়ামী লীগে ফেরাতে আগ্রহী মহিউদ্দিন চৌধুরী।

রাজনীতি ছাড়ার কথা বললেও ২০১৬ সালের ১ অক্টোবর চট্টগ্রামের কাট্টলী এলাকায় বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব মেমোরিয়াল ফাউন্ডেশনের এক অনুষ্ঠানে এক মঞ্চে পাশাপাশি বসেছিলেন প্রয়াত এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী ও মনজুর আলম। এরপরই চট্টগ্রামের রাজনৈতিক অঙ্গনে গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়ে যে মনজুরকে আওয়ামী লীগে ফেরাতে আগ্রহী মহিউদ্দিন। এসময় মনজুর আলম বলেছিলেন, তিনি বঙ্গবন্ধুর আর্দশের ছায়াতলে ছিলেন আছেন এবং থাকবেন। এ ছাড়া তাঁর পরিবারের সবাই বঙ্গবন্ধুর আদর্শের অনুসারী। বঙ্গবন্ধুর শোক দিবস পালনের বিষয়ে তখন মনজুর আলম বলেছিলেন, ফোর্থ জেনারেশন পর্যন্ত সবাই বঙ্গবন্ধুর রাজনীতি সঙ্গে সম্পৃক্ত এবং বঙ্গবন্ধুর আদর্শে বিশ্বাসী।

২০১৬ সালের ১ অক্টোবর নগরীর উত্তর কাট্টলীতে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মেমোরিয়াল ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে গুণিজন সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক মেয়র এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী দাবি করেছিলেন, ‘মনজুর আলম আওয়ামী লীগে আছেন। আজকের অনুষ্ঠানের শুরুতে তিনি আওয়ামীলীগের দলীয় পতাকা উত্তোলন করেছেন। আর আমাকে দিয়ে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করিয়েছেন এটাই বড় প্রমাণ তিনি আওয়ামী লীগে আছেন।’

তবে মহিউদ্দিন-নাছির কমিটির সভাপতি প্রয়াত এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী মনজুর আলমকে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে ফেরাতে আগ্রহী হলেও আনুষ্ঠানিকভাবে মহিউদ্দিনের জীবদ্দশায় তা সম্ভব হয়নি। এ প্রসঙ্গে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে মহিউদ্দিন চৌধুরীর কমিটিতে সাধারণ সম্পাদকের পদে আসা ও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘রাজনীতি করতে হবে আদর্শ ও নীতি নিয়ে। আওয়ামী লীগের রাজনীতি করতে হলে নির্দিষ্ট আদর্শ ও নীতির মধ্য দিয়ে কাজ করতে হয়। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী স্পষ্ট করেই বলে দিয়েছেন, সুবিধাবাদী, দল পাল্টানো লোকদের আওয়ামী লীগে না নিতে। এখন তো আওয়ামী লীগে যোগদানই বন্ধ। তাই কেউ যদি বঙ্গবন্ধুর শাহাদাতবার্ষিকীর অনুষ্ঠান করেই নিজেকে আওয়ামী লীগার প্রমাণ করতে চান তা কি আওয়ামী লীগের তৃণমূল নেতাকর্মীরা মেনে নেবে?’

মেয়র নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার গুঞ্জন সম্পর্কে জানতে চাইলে মেয়র নাছির বলেন, ‘আওয়ামী লীগ বৃহৎ ও গণতান্ত্রিক দল। এই দল থেকে অনেকেই মেয়র পদে লড়ার আগ্রহ দেখাবেন সেটাই স্বাভাবিক। কিন্তু তিনি (মনজুর আলম) কীভাবে আমাদের প্রার্থী হবেন। উনি তো আওয়ামী লীগই করেন না। বিএনপির মেয়র ছিলেন। খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা ছিলেন। আসল কথা হচ্ছে মনজুর আলম নির্বাচন আসলেই তৎপর হয়ে উঠেন। সেটা মেয়র বা সংসদ নির্বাচন যাই হোক। গত সংসদ নির্বাচনে জোর চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়ে এবার শুনছি মেয়র হতে চান। উনি আর্দশের রাজনীতি করেন না, ক্ষমতার কেন্দ্রে থাকতে চান। তাই উনার বিষয়ে সব মহলই অবগত আছেন।’

মনজুর আলমকে নিয়ে শুধু আওয়ামী লীগ নেতাদের আপত্তি নয়। তার পুরানো দল বিএনপির নগর কমিটির সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেনেরও ঘোর আপত্তি রয়েছে। জানতে চাইলে ডা. শাহাদাত বলেন, ‘মনজুর আলমকে নিয়ে বলার কিছুই নেই। তিনি তো আওয়ামী লীগের রাজনীতিতেই এখন সম্পৃক্ত বলে আমরা জানি। সরকারি দলের মানুষজনের সাথে উঠাবসা। তাদের নানাভাবে সহযোগিতাও করছেন। তাই বিএনপি থেকে ভুলেও মেয়র নির্বাচনের সুযোগ নেই তার। আমার জানা মতে বিএনপি তাকে নিয়ে আর কোনও ভুল করবে না।’

মুঠোফোনে মনজুর আলম

সামগ্রিক বিষয় সম্পর্কে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে বিএনপির সাবেক মেয়র মোহাম্মদ মনজুর আলম মুঠোফোনে বলেন, ‘আমি রাজনীতি করি, সমাজসেবা করি। তারই ধারাবাহিকতায় বঙ্গবন্ধুর শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষে মিলাদ ও আলোচনা সভার আয়োজন করেছি। এটা প্রতিবারই করে থাকি।’

এখন আওয়ামী লীগ করেন কিনা? এই প্রশ্নের উত্তরে বিএনপি চেয়ারপার্সনের সাবেক এ উপদেষ্টা বলেন, ‘আমি তো সারা জীবনই বঙ্গবন্ধুর আর্দশকে লালন করেছি৤’

চসিক নির্বাচনে মেয়র পদে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পাওয়ার চেষ্টা কি গুঞ্জন নাকি সত্য তা জানতে চাইলে সাবেক মেয়র মনজুর আলম বলেন, ‘আমি নির্বাচন করব কিনা সেটা সরাসরিই বলতে হবে। এসব কথা মোবাইলে বলা যায় না, আপনি একদিন চা খেতে আসিয়েন। তখন সরাসরি বলব সব।’ একথা বলার পর কথা অসম্পূর্ণ রেখেই মোবাইলের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেন তিনি।

সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!