বিআরটিসি চালু হওয়ার কর্মবিরতিতে মালিক-পরিবহন শ্রমিক

আলীকদম উপজেলায় বাস মালিক ও শ্রমিক সমিতির ডাকে শত্রুবার (১২ এপ্রিল) কর্ম বিরতি চলছে। সকালে আলীকদম বাস কাউন্টার থেকে দুয়েকটি বাস ও জীপ চকরিয়ার উদ্দেশ্য আলীকদম ছেড়ে গেলেও চকরিয়া থেকে আলীকদমের উদ্দেশ্য কোন বাস বা জীপ যাত্রী নিয়ে আসেনি।

আলীকদম, লামা, চকরিয়া ও চট্টগ্রাম গামী বিআরটিসি স্পেশাল সার্ভিস চালু হওয়ার প্রতিবাদে আলীকদম, লামা ও চকরিয়া সড়ক পরিবহন বাস, জীপ মালিক সমিতি ও সড়ক পরিবহন শ্রমিক সমিতির ডাকে এই কর্মবিরতি চলছে।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, আলীকদম, লামা চকরিয়া সড়কে বাস-জীপ মালিক সমিতি ও সড়ক পরিবহন শ্রমিক সমিতির কাছে জিম্মি হয়ে আছে আলীকদমের যাত্রীরা। যতবারই আলীকদম উপজেলায় অন্যকোন গাড়ী প্রবেশ করতে চেয়েছে, ততবারই তারা অবরোধ করে আলীকদমবাসীকে জিম্মি করে রেখেছে। জনগণকে মানসম্মত যাত্রী সেবা থেকে বঞ্চিত করছে এই আলীকদম-লামা-চকরিয়া সড়ক পরিবহনের সংশ্লিষ্টরা। তাদের ইচ্ছেমত ভাড়া বৃদ্ধি, ঈদুল ফিতর, ঈদুল আজাহার সময় বাস মালিক সমিতি দ্বিগুণ ভাড়া আদায় করে এবং বাস ও জীপগুলো স্টেশন ব্যতিত যেকোন জায়গা থেকে অতিরিক্ত যাত্রী নেয়।

বাস চালক মো. বেলাল বলেন, আমরা ১৯৮৬ সাল থেকে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে আলীকদমের যাত্রীদের সেবা করে আসছি এই সড়কে আমাদের চালক ও শ্রমিকভাইয়ের রক্ত মিশে আছে। এতোদিন কষ্ট করে আমরা সেবা দিয়ে আসলাম বর্তমান সুসময়ে আমাদের পেটে লাথি মারার পরিকল্পনা এটি।

আলীকদম-লামা-চকরিয়া সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সভাপতি মো. জামশেদ উদ্দিন ও সড়ক পরিবহন শ্রমিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. রফিক উদ্দিন বলেন, আমাদের অবগত না করে বিআরটিসি বাস সার্ভিস চালু করবে এটি দুঃখজনক। আলীকদম, লামা ও চকরিয়া বাস-জীপ ও শ্রমিকদের তিনটি সংগঠন বিকেলে বসবে পরবর্তী কার্যক্রম ঘোষণা করা হবে জানান শ্রমিক নেতারা।

এবিষয়ে আলীকদম উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ নাজিমুল হায়দার বলেন, শ্রমিক ও মালিক সমিতিগুলো কার্যালয় আলীকদম বা লামায় যেহেতু নেই, তাই বিলম্ব হচ্ছে। তাই লামা ও চকরিয়া উপজেলার নির্বাহী অফিসারসহ চকরিয়ায় শ্রমিক ও বাস মালিক সমিতির নেতাদের আলোচনা চলছে এবং দ্রুত সড়ক চলাচল স্বাভাবিক হবে বলে জানান তিনি।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!