নিজের আঙ্গিনায় অভিযান চালিয়েছে বিআরটিএর ভ্রাম্যমাণ আদালত। অভিযানে প্রতিষ্ঠানটির গেট সংলগ্ন দুটি দোকান সিলগালা করা হয়। বুধবার (১১ সেপ্টম্বর) সকাল ১১ টায় এ অভিযান পরিচালিত হয়।
ভুক্তভোগীরা বলেন, বিআরটিএ গেট সংলগ্ন ফটোকপি ও ক্যন্টিনে দোকানের আড়ালে দালালের কাজ করে আসছিল দোকানকর্মীরা। দোকানের বৈধ কাগজপত্রও ছিল না। দীর্ঘদিন ধরে দোকানগুলো দালালের আখড়ায় পরিণত হয়। গাড়ির কাগজপত্র হালনাগাদ করতে আসা মানুষকে নানা ধরনের হয়রানি করে আসছিল। কিছু অসাধু কর্মকর্তার যোগসাজশে দালালেরা কন্ট্রাক্টের মাধ্যমে কাজ নিয়ে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছিল। লাইসেন্স নবায়ন, মালিকানা পরিবর্তন, কাগজপত্র হালনাগাদসহ সব কাজের জন্য টাকা নিতো তারা।
মানুষকে হয়রানি করার অভিযোগের ভিত্তিতে বুধবার সকাল ১১ টা থেকে বিকাল ২ টা পর্যন্ত অভিযান চালায় বিআরটিএর ভ্রাম্যমাণ আদালত। অভিযানে র্যাবের একটি দল পুরো কম্পাউন্ডে ঘিরে রেখে কোন লোকজনকে আসা যাওয়া বন্ধ করে দেয়। এতে দালালেরা কমপাউন্ডে আটকা পড়ে। অভিযানে ৫ দালালকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড ও দুই দোকানকে সিলগালা করা হয়।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন হাটহাজারীর চিকনদণ্ডি গ্রামের সরওয়ারের ছেলে মো. ইমরান (২২) দক্ষিণ পাহাড়তলীর ফতেয়াবাদের আবধুল মালেকের ছেলে জাহেদুল ইসলাম রনি (৩২), মো. জানে আলমের ছেলে মো. বেলাল হোসেন, শিকারপুর ইউনিয়নের বাবুল বিশ্বাসের ছেলে সাজু বিশ্বাস (২২) মো. ইসহাকের ছেলে মো. ইমরান ।
সিএম/এসএস