বায়েজিদে সন্ধ্যায় ৫ লাখ চাঁদা চেয়ে গভীর রাতেই হামলা, নারীসহ আহত ৭

চট্টগ্রাম নগরীর বায়েজিদ থানার মোহাম্মদনগর এলাকায় ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবিতে হামলা চালিয়েছে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় ৭ জন আহত হয়েছেন। হামলায় নগদ দুই লাখ ত্রিশ হাজার টাকা ও ৬ ভরি স্বর্ণ অলংকার লুটের অভিযোগও পাওয়া গেছে।

বৃহস্পতিবার (১৮ জুন) দিবাগত রাত পৌনে ২টায় এ ঘটনা ঘটে।

হামলায় আহতরা হলেন- মো. আমিক মিয়া (৫০), নাছিমা বেগম(৪৫), জুয়েল রানা (২৭), তানিয়া আক্তার (২০), মুন্নি আক্তার (১৮) ও মো. রাশেদ (৩৫)। এরা চিকিৎসা শেষে হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরলেও এখনও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন তাহমিমা আক্তার পিংকী (১৩)।

এ ব্যাপারে ক্ষতিগ্রস্থ মাইন উদ্দিন সাগর চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, আমি এবং আমার শ্বশুর মিলে দ্বিতীয়তলা বিল্ডিংয়ের নির্মাণ কাজ শুরু করি। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় নির্মাণকাজে বাধা দেয় ৪৩ নম্বর আমিন শিল্পাঞ্চল এলাকার কিশোরগ্যাং লিডার রাশেদুল ইসলাম বাবুর প্রধান সহকারী, তাজু ডাকাতের ছেলে ইয়াবা সম্রাট ইমতিয়াজ করিম জুয়েল। এসময় বাড়ি নির্মাণ করতে হলে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। না দিলে ভয়াবহ পরিণতি হবে বলে হুমকি দেয়।

তিনি আরও বলেন, চাঁদা দিতে অস্বীকার করায় গভীর রাতে এলাকার চিহ্নিত চাঁদাবাজ সন্ত্রাসী চক্র আমাদের ঘরে ডাকাতি এবং ব্যাপক ভাংচুর চালায়। সন্ত্রাসীদের ধারালো দেশিয় অস্ত্রের আঘাতে আমাদের পরিবারের নারী পুরুষসহ ৭জন আহত হয়েছেন। তাদের আশঙ্কাজনক অবস্থায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

জানা যায়, সন্ত্রাসী রাশেদুল ইসলাম বাবুর নেতৃত্বে সহযোগী ইমতিয়াজ করিম জুয়েল, রফিক, মিল্লাদসহ অজ্ঞাত ২০ থেকে ২৫ জনের একটি সন্ত্রাসী গ্রুপ রাত প্রায় ১টা ৪৫ মিনিটে অস্ত্র এবং কিরিস, হকিস্টিক নিয়ে বাড়িতে অতর্কিত হামলা চালায়। এ সময় আশেপাশের ৫/৬টি ঘরে ভাংচুর চালানো হয়। সন্ত্রাসী রাশেদুল ইসলাম বাবুর নিজেকে চট্টগ্রাম মহানগর প্রস্তাবিত কমিটির ছাত্রলীগ নেতা দাবি করে। তার সন্ত্রাসী বাহিনীর অত্যাচারে অতিষ্ঠ এলাকাবাসী। মামলা-হামলা হুমকির ভয়ে কেউ মুখ খুলতে চান না। এলাকায় অস্ত্রের ভয় ও প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে তারা একের পর এক জায়গা দখল বাণিজ্যে মেতেছে বলেও জানান স্থানীয়রা।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বায়েজিদ বোস্তামী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রিটন সরকার ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। মামলার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। মামলা দায়েরের পর ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তারে অভিযান চালানো হবে।

এসকেএস/এসএ

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!