বায়েজিদে ধর্ষণচেষ্টা মামলা, অভিযুক্তরা পলাতক

চট্টগ্রামের নগরীর বায়েজিদ থানাধীন শেরশাহ কলোনি এলাকায় ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে তিনজনকে আসামি করে বায়েজিদ থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন এক বিধবা নারী।

বৃহস্পতিবার (১ আগস্ট) দিবাগত রাতে ভুক্তভোগী ঝুমা (ছদ্মনাম) বাদি হয়ে এ মামলা দায়ের করেছেন বলে জানান বায়েজিদ থানার ওসি আতাউর রহমান খন্দকার। মামলায় অভিযুক্তরা হলেন শেরশাহ কলোনি দীঘির পাড় সরকারি কোয়াটার্সের মহিউদ্দিনের ছেলে মো. জিয়া (৩৫), আহম্মদ নবী চৌধুরীর ছেলে গিয়াসউদ্দিন (৩৫), জামাল উদ্দিনের ছেলে মো.জাবেদ (২২)।

মামলা এজাহার সূত্রে জানা যায়, ভুক্তভোগী ঝুমার বাড়ি চট্টগ্রামের চন্দনাইশে। তার স্বামী গত ২ বছর আগে মারা যান। তিনি বর্তমানে তার তিন বছরের একমাত্র সন্তানকে নিয়ে নগরীর বায়েজিদ এলাকায় থাকেন। অভিযুক্তরাও একই এলাকার বাসিন্দা। র্দীঘদিন ধরে অভিযুক্ত তিন ব্যক্তি ভুক্তভোগী গৃহীণি ঝুমাকে রাস্তা-ঘাটে কু-প্রস্তাব দিয়ে উত্যক্ত করত। সর্বশেষ মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) রাত এগারোটায় ঝুমা তার ছেলেকে নিয়ে বড়বোনের বাসা থেকে নিজ বাসার সামনে এলে অভিযুক্তরা হঠাৎ মুখ চেপে ধরে ওসমান বিল্ডিং মাঝখানের গলিপথে অন্ধকারাচ্ছন্না স্থানে নিয়ে গিয়ে তাকে ধর্ষণের চেষ্টা করে। তখন কোলে থাকা সন্তান চিৎকার চেচামেচি করিলে ধর্ষণ চেষ্টাকারীরা পালিয়ে যায়। তারা যাওয়ার সময় হুমকি দেয় যদি ঘটনা কাউকে জানানো হয় তবে তাকে পুনরায় আক্রমণ করা হবে।

ভিকটিম ঝুমা জানান , সামাজিক লোকলজ্জার ভয়ে বিষয়টি পরিবারের লোকজনের কাছে এতদিন গোপন রেখেছিলাম । অভিযুক্তরা রাতের অন্ধকারে ধর্ষণের চেষ্টা চালালে বিষয়টি আমি বড়বোন ও আত্নীয় স্বজনদের জানাই। অভিযুক্তরা এলাকার প্রভাবশালী ও খারাপ লোক যে কোন সময় আমাকে মেরে ফেলতে পারে। তাই আমি আইনের আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছি।

এ বিষয়ে ওসি আতাউর রহমান খন্দকার বলেন, এ ঘটনায় ভিকটিম থানায় মামলা দায়ের করেছেন। তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের বিচারের আওতায় আনা হবে। অভিযোগের পর অভিযুক্তরা পালাতক রয়েছে। তবে অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

এইচটি/এসএস

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!