বায়েজিদের নাগিন পাহাড়খেকো ১০ জনের বিরুদ্ধে মামলা

চট্টগ্রাম নগরীর বায়েজিদের নাগিন পাহাড় কেটে নিশ্চিহ্ন করার ঘটনায় ১০ ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে চট্টগ্রাম পরিবেশ অধিদপ্তর।

পাহাড় কেটে স্থাপনা নির্মাণ ও প্লট তৈরির অপরাধে বুধবার (২৯ সেপ্টেম্বর) এ মামলা দায়ের করা হয়।

পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম মহানগরের পরিচালক মোহাম্মদ নূরুল্লাহ নূরী জানান, বায়েজিদ থানাধীন নাগিন পাহাড়ের পূর্ব-দক্ষিণ পাশের গ্রীনভ্যালি হাউজিং-১-এ খোরশেদ আলম ওরফে টুকুর দোতলা ভবন খালেদ মাহমুদ বাবুলের মালিকানাধীন জারিয়া বারোস টাওয়ার, মো. শোয়েবের মালিকানাধীন শোয়েব ভিলা, জাহাঙ্গীর আলমের মালিকানাধীন গ্রীনহাইট, গ্রীণভ্যালি হাউজিং সোসাইটির আবুল কালাম গং/রাশেদের মালিকানাধীন মনোয়ারা ম্যানসন, মনির উদ্দিনের মালিকানাধীন কাগতিয়া বিল্ডিং, প্রবাসী মনসুরের মালিকানাধীন তিন তলা বিল্ডিং, আমীর হোসেনের মালিকানাধীন ৬ তলা বিল্ডিং, নুরুচ্ছাবাহর মালিকানাধীন তিনটি টিনশেড ঘর, ওয়াহিদুল্লাহর মালিকানাধীন ৬ তলা বিল্ডিংসহ বিভিন্ন স্থাপনার সবগুলোই তৈরি করা হয়েছে নাগিন পাহাড় কেটে।

এর আগে এর আগে রোববার (২৬ সেপ্টেম্বর) নাগিন পাহাড় কাটার দায়ে ১৬ ব্যক্তির বিরুদ্ধে ৩২ লাখ ৩০ হাজার টাকার পরিবেশগত ক্ষতিপূরণ আরোপ করা হয়। ওইদিন শুনানির পর পাহাড় কাটার দায়ে শফিউল আলমকে দুই দফায় যথাক্রমে ৩ লাখ ৬০ হাজার ও ১ লাখ ৮০ হাজার, মোজাম্মেল হক জাফরকে ২ লাখ ৪০ হাজার, জাফর আলমকে ১ লাখ ৬০ হাজার, মোহাম্মদ শফিকে ১ লাখ ৪০ হাজার, নুরুল আবছারকে দেড় লাখ এবং মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন, নিলুফার বেগম, আনোয়ার পাশা, বীর মুক্তিযোদ্ধা গাজী মীর আহম্মদ, এমদাদউল্লাহ, মোহাম্মদ মুছা, ফিরোজ আহম্মদ, সাইদুল আলম ইফতি, ফজলুল রহমান ও মোস্তফা হাকিমকে ২ লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়।

তাদের বুধবার শুনানিতে হাজির থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু শুনানিতে হাজির না হওয়ায় ১০ ব্যক্তির বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।

বায়েজিদ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. কামরুজ্জামান চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, মামলাটি আমরা রেকর্ড করেছি। পরিবেশ অধিদপ্তরই মামলাগুলোর তদন্ত করবে। যদি কখনও কোনো আসামিকে গ্রেপ্তারের রিক্যুইজিশন কিংবা পুলিশের কোনো সহায়তা চায় তখন আমরা তা করব।

আইএমই/সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!