বায়েজিদের খুনে মহিউদ্দিনসহ আসামি ২৮, গ্রেপ্তার দুই

দূরত্ব কয়েক মিনিটের, পুলিশ গেছে এক ঘন্টা পর

চট্টগ্রামের শেরশাহ এলাকায় রিপন হত্যার ঘটনায় যুবলীগের কথিত নেতা আবু মোহাম্মদ মহিউদ্দিনকে প্রধান আসামি করে বায়েজিদ বোস্তামী থানার একটি হত্যামামলা দায়ের করা হয়েছে। চট্টগ্রাম পলিটেকনিক্যাল ইনস্টিটিউট ছাত্রলীগের সাবেক নেতা আবু মোহাম্মদ মহিউদ্দিন চট্টগ্রামের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিনের অনুসারী হিসেবে পরিচিত। বায়েজিদ শেরশাহ এলাকায় কিশোর গ্যাং নিয়ন্ত্রণসহ গার্মেন্টসের ঝুটব্যবসার একচেটিয়া নিয়ন্ত্রণ ও বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।

বুধবার (১ ডিসেম্বর) বিকেলে নিহত রিপনের ভাই মোহাম্মদ আজাদ বাদি হয়ে মহিউদ্দিন, দিদারসহ ২৮ জনের নামসহ ১০-১২ জন অজ্ঞাতনামা আসামির বিরুদ্ধে বায়েজিদ বোস্তামী থানায় মামলাটি দায়ের করেন। বিষয়টি চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে নিশ্চিত করেছেন বায়োজিদ বোস্তামী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা প্রিটন সরকার।

মঙ্গলবার রাতে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের ২ নং জালালাবাদ ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সাহেদ ইকবাল বাবুর বাসা থেকে মেজবান শেষে ফেরার পথে শের শাহ বাজার সংলগ্ন ফরিদ কমিশনারের বাড়ির পেছনে প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে নিহত হন রিপন। কাউন্সিলর বাবুর অনুসারী ছিলেন রিপন।

স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায় আবু মোহাম্মদ মহিউদ্দিনের নেতৃত্বে এমদাদ, দিদার, মিল্টন বড়ুয়া, জসিমসহ একদল সন্ত্রাসী প্রকাশ্যে এই হামলা চালায়। এ সময় তারা রিপন ও আল আমিনকে আটকে মারধর করে। এ সময় প্রথম দিকেই ছুরিকাঘাতে গুরুতর আহত হয় রিপন। স্থানীয়দের দাবি, প্রায় এক ঘন্টা ধরে এই হামলা চললেও ফাঁকা ফায়ার করে আতংক ছড়ানোয় রিপনদের উদ্ধারে কেউ এগিয়ে আসেনি। তবে এই ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে তাঁদের।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় একজন চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, বায়েজিদ থানা থেকে ঘটনাস্থলের দূরত্ব মাত্র কয়েক মিনিটের। অথচ এক ঘন্টার বেশি সময় ধরে হামলা চললেও পুলিশ এসেছে অনেক দেরিতে। অথচ পুলিশকে সাথে সাথেই জানানো হয়েছিল। কিন্তু তারা গুরুত্ব দেননি। এমনকি আমরা কয়েকবার ফোন করে তাড়া দেয়ায় ওসি বেশ বিরক্তিও দেখিয়েছিলেন। আমাদের বলেছেন আমরা বেশি বাড়াবাড়ি করছি।

এই বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযোগ অস্বীকার করেন ওসি প্রিটন সরকার। তিনি বলেন, আমরা খবর পাওয়ার পাঁচ মিনিটের মধ্যেই স্পটে ফোর্স গিয়েছে। এমনকি স্পট থেকে আমরা দুজন আসামিকেও গ্রেফতার করেছি।

ঘটনাস্থল থেকে গ্রেফতার হওয়া ওই দুই আসামি হলো মোমিন (৩১) , শওকত (২১)। বাকিদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে বলেও জানান ওসি প্রিটন সরকার।

এআরটি/সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!