বাড়ি ফেরার পথে গণধর্ষণের শিকার কিশোরী, হাটহাজারীতে ২জন আটক

হাটহাজারীতে কিশোরীকে গণধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার (৪ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় উপজেলার উত্তর মদার্শার সৈয়দ আহমদ হাট এলাকার মনু মিয়া উকিলের বাড়ির সামনে এ ঘটনা ঘটে। স্থানীয়রা ২ অভিযুক্তকে ধরে ইউনিয়ন পরিষদে আটক রেখে পরে থানায় হস্তান্তর করে। এ ঘটনায় এখনো মামলা দায়ের করেনি ভিকটিমের পরিবার।

স্থানীয়রা জানান, ওই ভিকটিম কিশোরী নানার বাড়িতে সারাদিন খেলাধুলা করে বাড়ি সন্ধ্যা ৬টায় বাড়ি ফিরছিল। এ সময় মনু মিয়া উকিলের বাড়ির পাশে বেড়িবাঁধ এলাকায় স্থানীয় সোলাইমানের (২২) নেতৃত্বে মোট চারজন মিলে কিশোরীকে নির্জনে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে৷ সোলাইমানের মুখোশ না থাকায় তাকে চিনতে পারে ভিকটিম শিশু। পরে বিষয়টি পরিবারের সদস্যদের জানালে উত্তেজিত স্থানীয় জনতা সোলাইমানকে রাত ৯টার দিকে আটক করে। পরে সোলাইমানের স্বীকারোক্তি অনুসারে মো সাইফুল (২১) নামের আরো একজনকে আটক করে ইউনিয়ন পরিষদে হস্তান্তর করে। আসামিদের ১০ নম্বর উত্তর মদার্শা ইউনিয়ন পরিষদে আটক রেখে বিষয়টি ইউনিয়ন পরিষদে চেয়ারম্যানকে জানালে তিনি সকালে ইউনিয়ন পরিষদে আসতে বলেন।

শনিবার (৫ জানুয়ারি) ১টার দিকে ভিকটিমের পরিবারের সদস্যরা ইউনিয়ন পরিষদে নিয়ে গেলে চেয়ারম্যান আসামিদের হাটহাজারী থানায় সোপর্দ করেন৷ পরিবারের সদস্যরা রাত ৩ টার দিকে চমেকে ওয়াইন স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) ভর্তি করে ভিকটিমকে। তবে বিকেল চারটা পর্যন্ত কোন ধরনের পরীক্ষা করা হয়নি বলে জানান ভিকটিমের মামা মো ওসমান ।

হাটহাজারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাসুদ আলম বলেন, ‘ধর্ষণের ঘটনার মৌখিক অভিযোগ পেয়েছি। স্থানীয় জনগণ একজনকে আটক করেছে বলে শুনেছি। এখনো পর্যন্ত পুলিশ কাউকে আটক করেনি। তবে এস আই হাবিবুর রহমান খান বলেন, ‘সোলাইমান, সাইফুল নামের দুজনকে দুপুর একটার সময় আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। বাকিদের ধরার চেষ্টা চলছে৷’

সিএম/এসএস

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!