বাস দুর্ঘটনায় নিহত নারী নোয়াখালীর, তিন যাত্রীর পরিচয় মিলছে না

কক্সবাজারের চকরিয়ায় পর্যটকবাহী বাসে নিহত চার যাত্রীর মধ্যে একজনের পরিচয় মিললেও তিন যাত্রীর পরিচয় মেলেনি এখনও।

রাত সাড়ে ১২টার দিকে নিহত চার যাত্রীর মধ্যে একজনের পরিচয় নিশ্চিত করেছেন চকরিয়ার চিরিঙ্গা হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির (ইনচার্জ) পুলিশ পরিদর্শক আনিসুর রহমান। ওই যাত্রীর নাম ঝর্ণা বেগম (৩৫। তিনি নোয়াখালীর হাতিয়ার বাসিন্দা। নিহত অন্য তিন যাত্রীই পুরুষ। এদিকে এ ঘটনায় আরও অন্তত ৫ যাত্রীর অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে। দুর্ঘটনাকবলিত ওই বাসে ৩৬ জনের বেশি পর্যটক-যাত্রী ছিল।

শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ১০টার দিকে স্টারলাইন পরিবহনের যাত্রীবাহী একটি বাস (ঢাকা মেট্টো-ব-১৫-২৩৪৩) নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে চকরিয়া উপজেলার বরইতলী ইউনিয়নে চিরিঙ্গা হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির উত্তর এলাকায় সড়কের পাশে উল্টে যায়। দুর্ঘটনার পরপরই মহাসড়কের যানচলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরে দুর্ঘটনায় পড়া বাসটি ক্রেন দিয়ে মহাসড়ক থেকে সরিয়ে নেওয়ার পর রাত ১১টার দিকে মহাসড়কে যানবাহন চলাচল সচল হয়।

চকরিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মো. হাবিবুর রহমান জানান, স্টারলাইন পরিবহনের বাসটি ফেনী থেকে কক্সবাজারের উদ্দেশ্যে যাত্রা করে। বাসটি চকরিয়া উপজেলার বরইতলী ইউনিয়নের বানিয়াছড়া এলাকায় পৌঁছালে চালক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাসটি সড়কের পাশে উল্টে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই তিনজন পুরুষ ও এক নারী যাত্রীর মৃত্যু হয়। এ সময় আহত হন আরও ২৫ যাত্রী। ঘটনার খবর পেয়ে চকরিয়া থানা পুলিশ, চিরিঙ্গা হাইওয়ে ও হারবাং ফাঁড়ি পুলিশ এবং ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা উদ্ধার তৎপরতা চালান। তবে নিহতের নাম পরিচয় পাওয়া যায়নি।

আহতরা হলেন দেলোয়ার হোসেন (৩২), তানবির (২৬), আমির হোসেন (২৯), সুমিয়া (৯), সুমি আক্তার (১৮), ছিদ্দিক আহমদ (২১), আবদুল করিম (২৮), কাউসার (২০), সেফায়েত উল্লাহ (৫০), জহির (৩০), ফিরোজ (৫০), জাহাঙ্গীর আহমদ (৪০), মহসিন উদ্দিন (৬০) ও শাহাদত হোসেন (২৬)।

চকরয়িা ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার সাইফুল হাসান জানান, ঘটনাস্থল থেকে হতাহতদের উদ্ধার তৎরপতা অব্যাহত রয়েছে। ঘটনাস্থলে এ সময় তারা আহত একজনকে দ্রুত উদ্ধার করে চকরিয়া সরকারি ও জমজম হাসপাতাল চট্টগ্রাম মেডিকেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!