বাসা খোঁজার নামে ছদ্মবেশে চুরি করে তারা

পুলিশের ঘর চুরি করতে গিয়ে ধরা দুই চোর

তারা তিনজনই সক্রিয় চোর। বিভিন্ন এলাকায় ভাড়া বাসার খোঁজ করার আড়ালে সুযোগ বুঝে চুরি করায় তাদের পেশা। এরকম বাসা খুঁজতে গিয়ে একটি বিল্ডিংয়ের রুমের দরজা খালি পেয়ে হানা দেয় বাসায়। কিন্তু ওই বাসাটি এক পুলিশ সদস্যর। শেষ রক্ষা হল না। সেখান থেকে টাকাসহ মোবাইল চুরি করার সময় হাতেনাতে ধরা পড়তে হল তাদের। স্থানীয়র তাদের ধরে দিল গণপিটুনিও। পরে খবর পেয়ে আহত দুই চোরকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (চমেক) প্রেরণ করে পুলিশ।

বৃস্পতিবার (২৪ ডিসেম্বর) দুপুরে চট্টগ্রামের পতেঙ্গা থানার বিজয়নগর এলাকার হাজী আলম বিল্ডিংয়ে ইমিগ্রেশন পুলিশের এক সদস্যের ঘরে এ চুরি ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় রাতে একটি মামলা দায়ের করা হয়। এসময় তাদের কাছ থেকে স্থানীয়দের মাধ্যমে নগদ এক লাখ ১৪ হাজার টাকাসহ চোরা কাজে ব্যবহৃত মালামাল জব্দ করে পুলিশ।

আটককৃতরা হলেন, ফেনী জেলার ফেনী সদর থানার মুন্সি মিয়ার বাড়ির মো. সিরাজের পুত্র হৃদয় (২৩) এবং ভোলা জেলার সদর থানার শশীভূষণ থানার জাহানপুর এলাকার হাওলাদার বাড়ির জাহাঙ্গীরের পুত্র মো. হাসান (২৭)। পলাতক আসামির নাম মো. শহিদ (১৮)। তার ঠিকানা জানা যায়নি।

বিষয়টি নিশ্চিত করে পতেঙ্গা থানার অপারেশন কর্মকর্তা (এসআই) মো. মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘গতকাল দুপুরে শাহ আমানতের বিমানবন্দরের কর্মরত ইমিগ্রেশন পুলিশ কনস্টেবলের বাসায় চুরি করার সময় হাতেনাতে ধরা হয় দুই জনকে। এ সময় তাদের গণপিটুনি দেয় স্থানীয়রা। একই রুমে আরও কয়েকজন পুলিশ সদস্য বসবাস করতেন। খবর পেয়ে পুলিশ সেখানে গিয়ে হৃদয় ও হাসান নামের দুই ব্যক্তিকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। স্থানীয়দের মাধ্যমে রুম থেকে চুরি হওয়া ১ লাখ ১৪ হাজার টাকাসহ চোরাইকাজে ব্যবহৃত যন্ত্রপাতি জব্দ করা হয়। এ ঘটনায় রাতে একটি মামলা দায়ের দুইজনকে গ্রেফতার দেখানো হলেও বাকি একজন পলাতক রয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘চমেক হাসপাতাল থেকে আজ (শুক্রবার) দুইজনকে আদালতে প্রেরণ করা হবে।’

মুআ/এমএফও

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!