বাসায় বসে সফটওয়্যারে হবে বিশ্ববিদ্যালয়ের সেমিস্টার পরীক্ষা

করোনা পরিস্থিতিতে সাত মাস ধরে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো বন্ধ। এর ফলে নতুন করে সেশনজট তৈরির আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে স্থগিত হয়ে যাওয়া পরীক্ষা নেওয়ার দাবিতে মানববন্ধনও করেছে শিক্ষার্থীরা। এই সংকট থেকে রক্ষা পেতে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে অনলাইন ক্লাস কার্যক্রম শুরু হলেও সেমিস্টার পরীক্ষার বিষয়টি ঝুলেই রয়েছে।

শেষ পর্যন্ত এ নিয়ে একটি সমাধানে এসেছে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় পরিষদ। করোনা পরিস্থিতিতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়সহ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থগিত পরীক্ষাগুলো অনলাইন মাধ্যমে নেওয়া হবে বলে এই পরিষদ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এজন্য তৈরি করা হচ্ছে একটি সফটওয়্যার। এর মাধ্যমে অফলাইনেও পরীক্ষায় অংশ নেওয়া যাবে।

শনিবার (১৭ অক্টোবর) দেশের ৪৬টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের অংশগ্রহণে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় পরিষদের এক ভার্চুয়াল বৈঠক শেষে বিষয়টি জানিয়েছেন সংগঠনের সভাপতি চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) উপাচার্য অধ্যাপক ড. রফিকুল আলম।

বর্তমানে স্থগিত হওয়া পরীক্ষাগুলো নিতে একটি সফটওয়্যার তৈরি করা হচ্ছে। বঙ্গবন্ধু ডিজিটাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোনাজ আহমেদ নূরের উদ্ভাবিত সফটওয়্যার ব্যবহার করে স্থগিত এসব সেমিস্টার পরীক্ষা নেওয়া হবে। এটির নামকরণ করা হয়েছে ‘প্রক্টর রিমোট এক্সাম সিস্টেম (প্রোকয়াস)’। এটি ব্যবহার করে ভর্তি পরীক্ষা ও অভ্যন্তরীণ একাডেমিক পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব হবে।

‘প্রক্টর রিমোট এক্সাম সিস্টেম’ সফটওয়্যারটির মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা বাসায় বসেই বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবে। এ জন্য একটি অ্যাপ তৈরি করা হবে। সেটি মোবাইল বা কম্পিউটারে ডাউনলোড করে অফলাইন কিংবা অনলাইনে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবে।

পরীক্ষা শুরুর আগে স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে পরীক্ষার্থীর অবস্থান ভিডিও, অডিও এবং স্থির ছবি উঠে যাবে। বাসায় পরীক্ষা দিলেও অ্যাপে সব কিছু রেকর্ড হয়ে থাকবে বলে কোনো ধরনের অসাধু উপায়ও অবলম্বন করা সম্ভব হবে না। যদি কেউ তা করার চেষ্টা করে তবে ভিডিও ও অডিওধারণের মাধ্যমে সেটি শনাক্ত করা যাবে। আর এ ধরনের প্রমাণ পাওয়া গেলে ওই পরীক্ষার্থীর পরীক্ষা বাতিল করা হবে।

উদ্ভাবিত এই সফটওয়্যার ও অ্যাপ সকল বিশ্ববিদ্যালয়েই দেওয়া হবে বিনামূল্যে। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোও চাইলে এর মাধ্যমে পরীক্ষা নিতে পারবে। এর মাধ্যমে ভর্তি পরীক্ষা, অভ্যন্তরীণ পরীক্ষা এবং শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা নেওয়াও সম্ভব হবে। সফটওয়্যারটি তৈরির ব্যয় বহন করবে ইউজিসি।

সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!