বাঁশখালী’র নিহত পরিবার পাচ্ছে ১০ লাখ টাকা করে : হত্যাকান্ডের মুলহোতা লেয়াকত-বললেন সাংসদ

 

নিজস্ব প্রতিবেদক : চট্টগ্রামের বাশঁখালীতে পুলিশের সাথে সংঘর্ষে নিহত গ্রামবাসীদের প্রত্যেকের পরিবার দশ লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরন পাবে। এছাড়াও আহত সবার সুচিকিৎসা নিশ্চিত করা হবে।

বৃহস্পতিবার সকালে চট্টগ্রাম নগরীর বায়েজিদ বোস্তামী থানার রহমান নগরে নিজ বাসভবনে আয়োজিত এক সাংবাদ সম্মেলনে এই ঘোষণা দেন বাঁশখালীর সংসদ সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান।12935181_817011938434008_553902941_n

এসময় তিনি বলেন, “সোমবারের ঘটনায় নিহত আহতদের পর্যাপ্ত ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা গ্রহণ করবে সরকার এবং প্রস্তাবিত কয়লা বিদ্যুৎ প্রকল্পের জন্য ক্ষতিগ্রস্ত গ্রামবাসীকে যথাযতভাবে পূনর্বাসন করার সিদ্ধান্ত আছে।”

সংঘর্ষের ঘটনার জন্য বিএনপি নেতা গণ্ডামারা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান লেয়াকত আলীকে দায়ী করেন মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী।

এস আলম গ্রুপের বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের প্রকল্প এলাকায় কোন বিরোধীতা নেই বলে দাবি করে তিনি বলেন, এটা নিয়ে রাজনীতি হচ্ছে।  চাঁদাবাজি করার জন্য একটি পক্ষ এ ঘটনা ঘটিয়েছে।

স্থানীয় বাসিন্দাদের বিরোধীতার মুখে বিদ্যুত প্রকল্পটি বাস্তবায়নে স্থানীয় সংসদ সদস্য হিসেবে তাঁর ভূমিকা সম্পর্কে জানতে চাইলে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, এটা সরকার ও প্রকল্প বাস্তবায়নকারী প্রতিষ্ঠানের বিষয়।  তারাই এ বিষয়টা দেখবে।

সরকার এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিবে উল্লেখ করে  তিনি বলেন, ‘সন্ত্রাসীদের জন্য কি উন্নয়ন প্রকল্প বন্ধ থাকবে?’

সংবাদ সম্মেলনে মোস্তাফিজুর রহমানের পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বাঁশখালী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আব্দুল গফুর। এসময় উপস্থিত ছিলেন বাঁশখালী পৌর মেয়র সেলিমুল হক চৌধুরী, উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি রেহানা আক্তার, উপজেলা আ’লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মহিউদ্দিন চৌধুরী।

প্রকৃত ঘটনাকে আড়াল করে উত্তপ্ত পরিস্থিতিতে ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করতে অনেক অচল রাজনৈতিক নেতা সচল হয়েছেন উল্লেখ করে লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, এলাকার নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি হিসেবে এসব ঘটনা সম্পর্কে প্রকৃত সত্য তুলে ধরা আমার দায়িত্ব বলে মনে করি।

তিনি বলেন, ২০১২ সাল থেকেই এস আলম পাওয়ার প্লান্ট প্রকল্পের কার্যক্রম শুরু হয়। তৎকালীন সংসদ সদস্য জাফরুল ইসলাম চৌধুরী, এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান ও পরিচালকদের নিয়ে গণ্ডামারা এলাকা পরিদর্শন করেন এবং জমি কিনতে উদ্ভূদ্ধ করেন। এলাকায় জমি কিনতে কমিটিও গঠন করেন। ২০১৪ সাল থেকেই এস আলম গ্রুপ নতুনভাবে তাদের কার্যক্রম শুরু করে। তাদের নিজস্ব লোক দিয়ে জমি ক্রয় করে।  এলাকায় প্রকল্পটির বাস্তবায়ন হলে কর্মসংস্থান হতে তাই আমিও সহযোগিতা করি।

তবে প্রকল্পের সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ত ছিলেন না দাবি করে তিনি বলেন, কিছুদিন আগে একটি স্বার্থান্বেষী মহল প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে পরিবেশ বিপন্ন হবে, এলাকায় বসবাস করা যাবে না এবং বিভিন্ন মারাত্মক রোগব্যাধি সৃষ্টি হবে বলে বিভ্রান্তিমূলক প্রচারণা চালিয়ে জনতাকে সংগঠিত করে।

বিষয়টি জানার পর প্রকল্পের কমকর্তাদের সঙ্গে কথা বলি। তারা কোন সমস্যা হবে না বলে জানান।  সব ধরনের পরীক্ষা নিরীক্ষা শেষে সরকারের চূড়ান্ত অনুমোদনের বিষয়টি এলাকাবাসীকে অবহিত করি।  এরপরও একটি পক্ষ বাঁধা সৃষ্টি করে সম্পদ হানি করতে থাকে। এ ঘটনার জন্য বিএনপির সাবেক চেয়ারমান লেয়াকত আলীকে দায়ী করেন তিনি।

এমএম/এএস

 

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!