বার কাউন্সিল ভোটে চট্টগ্রামে বিএনপির প্রার্থী বদরুল আনোয়ার

ভোটকেন্দ্র থাকবে চট্টগ্রামের ৫ উপজেলায়ও

দেশের আইনজীবীদের সনদ প্রদান ও সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ বার কাউন্সিল নির্বাচনে প্রার্থী ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি সমর্থিত আইনজীবীদের সংগঠন আইনজীবী ফোরাম। এতে চট্টগ্রাম ও নোয়াখালীর জন্য অ্যাডভোকেট এএসএম বদরুল আনোয়ারকে প্রার্থী ঘোষণা করা হয়েছে।

বার কাউন্সিল নির্বাচনে দেশের সব দেওয়ানি আদালত প্রাঙ্গণ ছাড়াও চট্টগ্রামের পটিয়া, সাতকানিয়া, বাঁশখালী, ফটিকছড়ি ও সন্দ্বীপে একটি করে ভোটকেন্দ্র থাকবে।

রোববার (৩ এপ্রিল) সাধারণ আসন ও অঞ্চল ভিত্তিক প্রার্থীদের নামের এই তালিকা প্রকাশ করা হয়। জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের মহাসচিব অ্যাডভোকেট মো. ফজলুর রহমান খান এসব প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেন।

সাধারণ আসনে বাংলাদেশের সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেট এজে মোহাম্মদ আলী, সুপ্রিম কোর্ট বারের সাবেক অপর এক সভাপতি অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন, ব্যারিস্টার এএম মাহবুব উদ্দিন খোকন, ব্যারিস্টার আব্দুল্লাহ আল মামুন, অ্যাডভোকেট ফাহিমা নাসরিন মুন্নি, ব্যারিস্টার মো. রুহুল কুদ্দুস কাজল ও অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ আব্দুল মতিন।

অঞ্চল ভিত্তিক গ্রুপ (এ) ঢাকা অঞ্চলের জন্য অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ মহসিন মিয়া, ময়মনসিংহ টাঙ্গাইল ও ফরিদপুর অঞ্চলের জন্য অ্যাডভোকেট আব্দুল বাকী মিয়া। চট্টগ্রাম ও নোয়াখালীর জন্য অ্যাডভোকেট এএসএম বদরুল আনোয়ার।

কুমিল্লা ও সিলেট অঞ্চলের জন্য অ্যাডভোকেট এটিএম ফয়েজ উদ্দিন। খুলনা বরিশাল ও পটুয়াখালীর জন্য অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ এনায়েত হোসেন বাচ্চু, রাজশাহী যশোর কুষ্টিয়ার জন্য অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ মাইনুল আহসান। দিনাজপুর বগুড়া রংপুর পাবনা অ্যাডভোকেট শফিকুল ইসলাম টুকু।

তথ্য অনুযায়ী, প্রতিবারের মতো এবারও দেশব্যাপী ১৪টি পদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। বার কাউন্সিলের সনদপ্রাপ্ত আইনজীবীদের মধ্য থেকে সাধারণ আসনে সাতজন ও গ্রুপ আসনে সাতজন সদস্য নির্বাচিত হবেন। গ্রুপ আসনের ক্ষেত্রে স্থানীয় আইনজীবী সমিতির আইনজীবীদের মধ্য থেকে সাতজন সদস্য নির্বাচিত হবেন।

সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি ভবন, দেশের সব দেওয়ানি আদালত প্রাঙ্গণসহ বাজিতপুর, ইশ্বরগঞ্জ, দূর্গাপুর, ভাঙা, চিকন্দি, পটিয়া, সাতকানিয়া, বাঁশখালী, ফটিকছড়ি, সন্দ্বীপ, হাতিয়া, নবীনগর ও পাইকগাছা দেওয়ানি আদালতসমূহে একটি করে ভোটকেন্দ্র থাকবে।

এর মধ্যে ‘এ’ গ্রুপে বৃহত্তর (পূর্ববর্তী) ঢাকা জেলার অন্তর্গত সব স্থানীয় আইনজীবী সমিতি, ‘বি’ গ্রুপে বৃহত্তর (পূর্ববর্তী) ময়মনসিংহ, টাঙ্গাইল ও ফরিদপুর জেলার অন্তর্গত সব স্থানীয় আইনজীবী সমিতি, ‘সি’ গ্রুপে বৃহত্তর (পূর্ববর্তী) চট্টগ্রাম ও নোয়াখালী জেলার অন্তর্গত সব স্থানীয় আইনজীবী সমিতি, ‘ডি’ গ্রুপে বৃহত্তর (পূর্ববর্তী) কুমিল্লা ও সিলেট জেলার অন্তর্গত সব স্থানীয় আইনজীবী সমিতি, ‘ই’ গ্রুপে বৃহত্তর (পূর্ববর্তী) খুলনা, বরিশাল ও পটুয়াখালী জেলার অন্তর্গত সব স্থানীয় আইনজীবী সমিতি, ‘এফ’ গ্রুপে বৃহত্তর (পূর্ববর্তী) রাজশাহী, যশোর ও কুষ্টিয়া জেলার অন্তর্গত সব স্থানীয় আইনজীবী সমিতি এবং ‘জি’ গ্রুপে বৃহত্তর (পূর্ববর্তী) দিনাজপুর, রংপুর, বগুড়া ও পাবনা জেলার অন্তর্গত সব স্থানীয় আইনজীবী সমিতি অন্তর্ভুক্ত থাকবে।

গেজেট অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র দাখিল করা যাবে ৬ এপ্রিল পর্যন্ত, মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই ১৩ এপ্রিল এবং প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ২০ এপ্রিল। ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে ২৫ মে।

মহামারি করোনা পরিস্থিতিতে নির্ধারিত সময়ে বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের নির্বাচন অনুষ্ঠান করা সম্ভব না হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে গত বছর আগস্টে অ্যাডহক কমিটি গঠন করা হয়। তখন অ্যাটর্নি জেনারেল এএম আমিন উদ্দিনকে চেয়ারম্যানের দায়িত্ব দিয়ে বাংলাদেশ বার কাউন্সিল পরিচালনায় ১৫ সদস্যের অ্যাডহক কমিটি গঠন করে গেজেট প্রকাশ করে সরকার। গঠিত কমিটি ২০২২ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করবে। চলতি বছরের ৩১ মে বা তার আগে বার কাউন্সিলের নির্বাচন সম্পন্ন করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। নির্বাচিত কমিটি আগামী ১ জুলাই দায়িত্বগ্রহণ করবে।

সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!