বারবার উচ্ছেদ হলেও কক্সবাজারের ফুটপাত থেকে সরছে না ভ্রাম্যমাণ হকার

যত্রতত্র পার্কিং, অবৈধ দোকানে মলিন পর্যটন নগরী

কক্সবাজারের অধিকাংশ ফুটপাত এখন ভ্রাম্যমাণ হকার ও অবৈধ পার্কিংয়ের দখলে । এতে সড়ক সংকীর্ণ হচ্ছে দুর্ভোগ বাড়ছে যানবাহন চালক ও পথচারীদের।

রমজানে দুর্ভোগ দ্বিগুণ বেড়েছে। শুধু তাই নয় ফুটপাত ভ্রাম্যমাণ হকার আর অবৈধ পার্কিংয়ের দখলে যাওয়ার কারণে যানজট সৃষ্টির পাশাপাশি বাড়ছে দুর্ঘটনা। দীর্ঘদিন ধরে এ অবস্থা চলতে থাকলেও সেদিকে খেয়াল নেই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের। প্রশাসনের পক্ষ থেকে কয়েকবার অবৈধ হকারদের উচ্ছেদ করা হলেও ফের জুড়ে বসে ভ্রাম্যমাণ হকাররা।

সরেজমিনে দেখা গেছে, ভোলাবাবুর পেট্রোলপাম্প এলাকা, জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের নিচে (কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ রোড) হাসপাতাল সড়ক, বার্মিজ মার্কেট, এন্ডারসন রোডসহ শহরের গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন সড়কের ফুটপাতে পণ্যের পসরা নিয়ে বসেছে ভ্রাম্যমাণ হকাররা। এছাড়াও রয়েছে অবৈধ পার্কিং। বিশেষ করে এসব এলাকার সড়ক ও ফুটপাতে ভ্রাম্যমাণ দোকান, ফেরিওয়ালা, সড়কের উপর যানবাহনের অবৈধ পার্কিং, নির্মাণসামগ্রী রাখা, কাঁচাবাজার, ডাস্টবিন, মোড়ে মোড়ে গাড়ির বিশৃঙ্খল জটলা, যেখানে সেখানে যাত্রী ওঠা-নামা চলছে।

শহরের অন্যতম ব্যস্ততম সড়ক হাসপাতাল সড়ক। হাসপাতাল সড়কের দুপাশের ফুটপাত ও রাস্তা দখল করে রেখেছে ফল ও সবজি ব্যবসায়ীরা। এছাড়া ডিজিটাল হাসপাতাল থেকে কোর্ট বিল্ডিং পর্যন্ত সড়কের পুরোটাই দখল করেছে হকার, সবজি, ফল ব্যবসায়ী ও বিভিন্ন প্রসাধনীর ব্যবসায়ীদের দখলে। পাশাপাশি এই সড়কের প্রাইভেট ক্লিনিকগুলোর সামনে কোনো পার্কিংয়ের ব্যবস্থা না থাকায় রোগি ও ঔষুধ কোম্পানির লোকদের মোটর সাইকেলসহ নানা ধরণের যানবাহন রাস্তার উপর রাখার কারণে বাড়ছে যানজট।

শহরের বাহারছড়া এলাকার জাহিদুল ইসলাম শ্রাবণ নামের এক যুবক ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, পর্যটন শহর হিসেবে দেশ ছাড়িয়ে বিশ্বের মাঝে পরিচিত এক নাম কক্সবাজার। অথচ এই কক্সবাজার শহরের নেই কোন সৌন্দর্য্য। ফুটপাত দখল করে যত্রতত্র ভাসমান দোকান, অবৈধ পার্কিং-এ ছেয়ে গেছে নগরী।

একই সুরে কথা বললেন টেকপাড়ার ৫৫ বছরের বৃদ্ধ কলিম উদ্দিন। তিনি বলেন, বর্তমানে হাসপাতাল সড়ক ও ভোলাবাবুর পেট্রোলপাম্প এলাকার যে অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে তাতে যানবাহন তো নয়ই হেঁটে চলাও কষ্টকর হয়ে পড়েছে। তিনি শীঘ্রই ফুটপাত দখলকারীদের উচ্ছেদ করে শহরের সৌন্দর্য্য ফিরিয়ে আনতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি দাবি জানিয়েছেন।

এ বিষয়ে কক্সবাজার জেলা ট্রাফিক পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার বাবুল চন্দ্র বণিক বলেন, ফুটপাত দখল করে যেসব ভাসমান হকার ব্যবসা পরিচালনা করে আসছিল সেগুলোকে একাধিকবার উচ্ছেদ করা হয়েছে। উচ্ছেদের পর ফের তারা দোকান বসাচ্ছে। অবৈধ দখলদারদের বিরুদ্ধে শীঘ্রই উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হবে।

এসএস

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!