বাবার গুণে কপাল খুলেছে বিএনপি কাউন্সিলর আরিফুলের

পশ্চিম বাকলিয়া ওয়ার্ড

বাবার গুণে কপাল খুলেছে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ১৭ নম্বর পশ্চিম বাকলিয়া ওয়ার্ডে বিএনপি মনোনীত কাউন্সিলর প্রার্থী একেএম আরিফুল ইসলামের। ওই ওয়ার্ডে সাবেক কাউন্সিলর একেএম জাফরুল ইসলামের (মাস্টার জাফর) মৃত্যুর পর উপ-নির্বাচনে জয়ী হয়ে পিতার ওয়ার্ডে ৬ মাসের জন্য কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছিলেন পুত্র আরিফুল।

তবে আসন্ন নির্বাচনে হলফনামা অনুযায়ী, তার অর্জিত বেশিরভাগ সম্পত্তি পৈত্রিক সূত্রে পাওয়া। যদিও পৈত্রিক সূত্রে পাওয়া সুবিশাল পরিমাণ জমি-জমার সুনির্দিষ্ট হিসাব জানা নেই আরিফুলের। পেশায় ব্যবসায়ী আরিফুলের খাতুনগঞ্জে রয়েছে আরিফ ট্রেডিং সিন্ডিকেট এবং টিএনএ এন্টারপ্রাইজ নামে দুটি প্রতিষ্ঠান।

গেল বছর জুলাইতে চসিক ১৭ নম্বর ওয়ার্ড উপ-নির্বাচনের আগ মুহূর্তে ‘হঠাৎ’ বিএনপিতে যোগ দেওয়া ডিউকের বিরুদ্ধে নেই কোন মামলা। পৈত্রিক সূত্রে পাওয়া তার অকৃষি জমির পরিমাণ আনুমানিক ১৫ গন্ডা। পিতার গুণে পাওয়া জমির যৌথ মালিকানার তালিকায় আরও রয়েছে ২৫ কানির পাহাড় ও ১০ গন্ডার জলাশয় ভূমি। যদিও হলফনামায় দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, পৈত্রিক সূত্রে পাওয়া ‘আনুমানিক’ এ সম্পদের ‘সঠিক’ আয়তন ও মূল্যে জানা নেই আরিফুলের। তাছাড়া নিজ নামে রয়েছে একটি বাড়ি ও ৬ তলা বিশিষ্ট একটি দালানের ৩৫ শতাংশ মালিকানা। এই দুটি বাড়ি থেকে তার মাসিক আয় মাত্র ১০ হাজার ৫০০ টাকা। অন্যদিকে খাতুনগঞ্জে তার দুটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগ করা ২৭ লাখ ২৪ হাজার বিপরীতে মাসিক আয় ১৭ হাজার ১২৫ টাকা।

প্রসঙ্গত, গেল বছর ১৭ এপ্রিল পশ্চিম বাকলিয়া ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর একেএম জাফরুল হক নগরীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে মারা যাওয়ায় পর গত ২৫ জুলাই ওই ওয়ার্ডে উপ-নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। পিতার শূন্য ওয়ার্ডে বিএনপির সমর্থন পেয়ে জয়ী লাভ করেছিলেন পুত্র আরিফুল ইসলাম ডিউক।

এএ/এসএস

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!