বাবার কাছে ঈদ সালামি না পেয়ে মিরসরাইয়ে কিশোরীর আত্মহত্যা

মাইমুনার অন্য দুই ভাই বোনকে সালামি দিয়েছে বাবা। তাকে সালামি দেওয়া হয়নি। বাবা-মায়ের সাথে এ নিয়ে অভিমান করে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে এক কিশোরী। বুধবার (২৭ মে) ঘটনাটি ঘটেছে চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে। নিহত কিশোরীর নাম মাইমুনা আক্তার (১৫)।

বুধবার দুপরে উপজেলার ওয়াহেদপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ ওয়াহেদপুর গ্রামে এ ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। মাইমুনা রাজশাহী শহরের আমচত্বর এলাকার ছালাফিয়া মহিলার মাদ্রাসার ৮ম শ্রেণির শিক্ষার্থী। সে মিরসরাই উপজেলার মিঠাছড়া এলাকার ধনকাজী ভূঁইয়া বাড়ির মো. মহিউদ্দিনের মেয়ে।

নিহত মাইমুনার মামা মো. সাইদুল ইসলাম সাইদী জানান, বুধবার সকালে মাইমুনার বাবা ছোট দুই ভাই বোনকে ঈদ সালামি দেয় ২০০ টাকা। মায়ের কাছে জানতে চায় তার জন্য দিয়েছে কিনা? তার জন্য ঈদ সালামি দেয়নি শুনে ঘরের ভেতর গিয়ে দরজা বন্ধ করে সিলিং ফ্যানের সাথে ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করে। পরে ঘরের দরজা ভেঙ্গে প্রবেশ করে তার ঝুলন্ত লাশ দেখা যায়।

সাইদী জানান, মাইমুনাদের বাড়ি মিঠাছড়ায় হলেও তার বাবার ব্যবসার সুবাদে তারা রাজশাহীতে থাকত। কয়েক মাস পূর্বে ব্যবসার অবস্থা খুব ভালো না হওয়ায় আমাদের বাড়িতে চলে আসে। তারা এখন আমাদের বাড়িতে (ওয়াহেদপুর) থাকে।

মিরসরাই থানার অফিসার ইনচার্জ মজিবুর রহমান বলেন, এক কিশোরীর আত্মহত্যার খবর পেয়ে লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে এসেছি। পরিবার বলছে ঈদ সালামি না পাওয়ায় সে আ‏ত্মহত্যা করেছে। তবে এটি আত্মহত্যা কী না আমরা নিশ্চিত নই। লাশের ময়নাতদন্ত রিপোর্ট আসার পর প্রকৃত ঘটনা জানা যাবে। ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (চমেক) মর্গে লাশ প্রেরণ করা হয়েছে।

এসএস

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!