বান্ধবীর সিমে বিকাশ একাউন্ট, ৭২ হাজার টাকা খোয়াতে বসেছিলেন চট্টগ্রামের গার্মেন্টসকর্মী

চট্টগ্রামের এক গার্মেন্টসে কর্মরত তরুণী তার বান্ধবীর নিবন্ধিত সিমকার্ড ব্যবহার করে খোলা বিকাশ একাউন্ট থেকে খোয়া যাওয়া টাকা ফিরে পেলেন নাটকীয়ভাবে।

বান্ধবীর নামে নিবন্ধিত সিমকার্ড ব্যবহার করে মোবাইল ব্যাংকিং হিসাবে জমা থাকা ৭২ হাজার টাকা খুইয়েছিলেন চট্টগ্রামের এক গার্মেন্টসে কর্মরত ওই তরুণী। এ ঘটনায় থানায় সাধারণ ডায়েরি করা হলে সেই টাকা উদ্ধার করে পুলিশ।

প্রতারণার শিকার হওয়া ওই তরুণীর কর্মস্থল চট্টগ্রামে হলেও তার বাড়ি হবিগঞ্জের বাহুবল উপজেলায়। বিলকিস আক্তার (২৩) নামের ওই তরুণী বাহুবল উপজেলার নিজগাঁও গ্রামের আব্দুল গফুরের মেয়ে।

শুক্রবার (২৯ অক্টোবর) বাহুবল মডেল থানা পুলিশ ৭২ হাজার টাকা উদ্ধার করে তার কাছে হস্তান্তর করে।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বিলকিস ও সুনামগঞ্জের দত্তপাড়া এলাকার আলী আকবরের মেয়ে সাদিয়া বেগম একসঙ্গে চট্টগ্রামে একটি গার্মেন্টস কারখানায় কাজ করতেন। দুজনের মধ্যে বন্ধুত্ব গড়ে উঠলে সাদিয়ার আঙুলের ছাপ ব্যবহার করে একটি সিমকার্ড কেনেন বিলকিস। চার বছর ধরে তিনি সিমকার্ডটি ব্যবহার করছেন এবং এতে মোবাইল ব্যাংকিং সেবাদাতা বিকাশের একটি হিসাব খোলেন।

কিছুদিন আগে বিলকিসের মোবাইল ব্যাংকিং হিসাবে ৭২ হাজার টাকা জমা থাকার খবর জানতে পারেন সাদিয়া। সিমকার্ডটি যেহেতু সাদিয়ার নামে নিবন্ধিত, সেই সুযোগ নিয়ে তিনি গ্রাহকসেবায় অভিযোগ দিয়ে সেটি বন্ধ করে দেন। এরপর নতুন করে সিমকার্ড উত্তোলন করে বিকাশের টাকাগুলো হাতিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন।

এদিকে হঠাৎ সিমকার্ড বন্ধ হয়ে যাওয়ায় সাদিয়ার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাননি বিলকিস। এ বিষয়ে গত ২৩ অক্টোবর তিনি বাহুবল মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। এরপর পুলিশ বিকাশের গ্রাহকসেবা কেন্দ্রে গিয়ে বিষয়টি জানালে তারা ব্যবস্থা নেন। বিভিন্ন প্রক্রিয়া শেষে শুক্রবার ৭২ হাজার টাকা বাহুবল মডেল থানায় আসে। পরে পুলিশ বিলকিসের কাছে টাকাগুলো হস্তান্তর করে।

বাহুবল মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রকিবুল ইসলাম খান বলেন, সাদিয়ার নামে নিবন্ধিত সিমকার্ড ব্যবহার করে বিপাকে পড়েছিলেন বিলকিস আক্তার। বিকাশের সহায়তা নিয়ে পুলিশ টাকাগুলো উদ্ধার করেছে। তবে প্রতারণা চেষ্টাকারী তরুণীটি এখনও পলাতক।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!