বান্দরবানে ১ লাখ ১৭ হাজার শিশু খাবে হাম রুবেলার টিকা

হামের প্রার্দুভাব ঠেকাতে বান্দরবান পার্বত্য জেলায় এবার ১ লাখ ১৭ হাজার শিশুকে খাওয়ানো হবে এক ডোজ এমআর (হাম রুবেলা) টিকা। তিন সপ্তাহের এই অভিযানে দুর্গম এলাকার শিশুরাও বাদ যাবে না।

রোববার (১৫ মার্চ) সকালে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় মিলানায়তনে এক সাংবাদিক সম্মেলনের মাধ্যমে এই তথ্য জানান সিভিল সার্জন ডা: অংসুই প্রু।

সিভিল সার্জন ডা: অংসুই প্রু আরও জানান, হাম রুবেলাকে কেন্দ্র করে এরই মধ্যে প্রত্যেক উপজেলায় ৭টি টিমকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। এই কর্মসূচিকে শতভাগ সফল করতে গঠন করা হয়েছে ১৭০টি টিম। দুর্গম এলাকার শিশুদের হাম রুবেলা টিকা খাওয়ানোর ক্ষেত্রে বিজিবি ও পুলিশের সহায়তা নেওয়া হবে বলে জানান সিভিল সার্জন।

এছাড়াও অভিভাবকদের সুবিধার্থে কখন, কোন সময় টিকা প্রদান করা হবে জেলা-উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এবং কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোতে সকল টিকা দানের সময়সূচির তালিকা টাঙিয়ে দেয়া হবে।

সংবাদ সম্মেলনে ডেপুটি সিভিল সার্জন মং টিং ঞো, মেডিকেল অফিসার ডা. মো. আলমগীর, ডা. মো. সুববীর রহমান, সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষা ও স্বাস্থ্য কর্মকর্তা সা সুই চিং, প্রেসক্লাবের সভাপতি মনিরুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক মিনারুল হক, বিশেষজ্ঞ ডাক্তার ও জেলায় কর্মরত বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সংবাদকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

এদিকে সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, ১৮ মার্চ থেকে ২৪ মার্চ পর্যন্ত জেলা উপজেলা পর্যায়ে সরকারি ও বেসরকারি স্কুলগুলোর ৬৬ হাজার ১৩৩ জনকে এই টিকা দেওয়া হবে। দ্বিতীয় সপ্তাহে কমিউনিটির যেসব শিশু বিদ্যালয়ে যায় না বা প্রথম সপ্তাহে বিদ্যালয়ে টিকা নেয়নি এ রকম ৫১ হাজার ৪৬৭ শিশুকে খাওয়ানো হবে ১ ডোজ এমআর টিকা।

আরও জানা যায়, মার্চ থেকে আগামী ১১ এপ্রিল পর্যন্ত ৯ মাস থেকে ১০ বছর বয়সী শিশুকে এই টিকা দেওয়া হবে। শুক্রবার ও সরকারি ছুটির দিন ছাড়া টিকাদান কেন্দ্রে সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত টিকা দেওয়া হবে।

এদিকে ১৮ মার্চ সকালে বান্দরবান পার্বত্য জেলার রেইচা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এই ক্যাম্পেইনের উদ্বোধন করা হবে।

৯ মাস থেকে ১০ বছরের নিচের সব শিশুকে এক ডোজ এমআর টিকা দেওয়ার মাধ্যমে হাম-রুবেলা রোগের বিস্তার হ্রাস করা হবে বলে জানান আয়োজকরা।

এসএ

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!