বান্দরবানে ম্রো জনগোষ্ঠীর চাংক্রান উৎসব

ম্রো জনগোষ্ঠীর অন্যতম ঐতিহ্যবাহী সামাজিক উৎসব চাংক্রান শুরু হয়েছে বান্দরবানে। ম্রো জনগোষ্ঠী চাংক্রান উৎসব পালনের জন্য বার্মিজ বর্ষপঞ্জি অনুসরণ করে থাকে। অনেকে আবার জঙ্গলে এক প্রকার বনৌষধী ফুলের গাছকে অনুসরণ করে । আম পাতার সাদৃশ্য উক্ত ফুলের পাতা । চৈত্রের শেষে এ বৃক্ষে ফুল ফুটে । যখনই এ পুষ্প ফোটে তখনই ম্রো জনগোষ্ঠী চাংক্রান উৎসব এসেছে বলে মনে করে । যার ফলে এ পুষ্পটির নাম রাখা হয় ‘চাংক্রান পাউ’ (সাংগ্রাইন পুষ্প) বা বিজু ফুল।

বৃহস্পতিবার দুপুরে বান্দরবানের টংকাবতি ইউনিয়নের সাখয়ই পাড়ার ব্রিকফিল্ড মাঠে এই উৎসবের আয়োজন করে বান্দরবানের ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী সাংস্কৃতিক ইন্সটিটিউট। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী বীর বাহাদুর ।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, জাকির হোসেন মজুমদার, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক আবুল কালাম, সদর উপজেলার চেয়ারম্যান একে এম জাহাঙ্গীর সহ ম্রো সম্প্রদায়ের নেতৃবৃন্দ ।

এই উৎসবকে কেন্দ্র করে ম্রো তরুণ-তরুণীরা ঐতিহ্যবাহী পোষাক পরিধান করে বাশের তৈরি বাঁশির সুরে তাদের লোকনৃত্য পরিবেশন করে পুরা অনুষ্ঠানস্থল মাতিয়ে তোলেন । এ সময় পুঁতির মালা গাঁথা প্রতিযোগিতা (কেংচুক), বাঁশ দিয়ে টানাটানি (তক্রং) ও ঠেলাঠেলি প্রতিযোগিতা (তাকেট), কোমর তাঁত বুনন (পক্কং), বাঁশ দৌড় সহ বিভিন্ন ধরনের খেলায় অংশ নেয় বিভিন্ন বয়সের ম্রো যুবক যুবতিরা ।

বান্দরবান পার্বত্য জেলায় রয়েছে ১১ জাতিগোষ্ঠী । তাদের প্রত্যেকে বৈশাখে বর্ষবরণ করেন এক এক সময় ।

প্রসঙ্গত, বান্দরবানে ম্রো জনগোষ্ঠী চাংক্রান উৎসবকে তিনদিনব্যাপী পালন করে থাকে । উৎসবের পূর্ব রাত্রে প্রবীণগণ অষ্টশীল গ্রহণ ও উপবাস যাপনের লক্ষ্যে বৌদ্ধ বিহারের ‘সাতাং সুং কীম’ ধর্মালয়ে তিনদিনের জন্য বিছানাপত্র নিয়ে অবস্থান করেন।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!