বান্দরবানে আওয়ামী লীগের সমর্থককে গুলি করে হত্যা

বান্দরবানের রাজবিলা ইউনিয়নের ক্য চিং থোয়াই নামে একজনকে গুলি করে হত্যা করেছে সন্ত্রাসীরা। তিনি আওয়ামী লীগের একজন সমর্থক ছিলেন। ক্য চিং থোয়াই পেশায় একজন মুদি ব্যবসায়ী। শনিবার রাত দেড় টার দিকে রাজবিলা ইউনিয়নের রাবার বাগান এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

রাজবিলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ক্য অংপ্রু জানান, নিহতের বড় ভাই ক্য চিং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি। শনিবার রাতে তাকে খুঁজতে বাসায় যায় সন্ত্রাসীরা। এ সময় সন্ত্রাসীরা বাসায় তাকে খুঁজে না পেয়ে তার ছোট ভাই ক্যচিং থোয়াইকে ঘুম থেকে উঠিয়ে অস্ত্রের মুখে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায়। পরে রাবার বাগানে রাস্তার উপর দাঁড় করিয়ে তাকে গুলি ও ছুড়ি দিয়ে নিশৃংসভাবে হত্যা করেছে সন্ত্রাসীরা। এই হত্যাকাণ্ডে পাহাড়ের কোন সন্ত্রাসী গোষ্ঠী জড়িত কিনা তা নিশ্চিত করে বলতে পারছেন না কেউ।

বান্দরবান সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহিদুল ইসলাম জানান, আওয়ামী লীগের এক সমর্থককে গুলি করে হত্যার ঘটনার কথা শুনেছি। ঘটনাস্থলে এরইমধ্যে আমরা পুলিশ পাঠিয়েছি।

প্রসঙ্গত, গত ৭ মে বান্দরবানে সন্ত্রাসীদের গুলিতে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (জেএসএস) এর বিনয় তঞ্চঙ্গ্যা (৩১) নামে এক কর্মী নিহত হয়েছেন। এই ঘটনায় পুরাধন তঞ্চঙ্গ্যা (৩২) নামে আরো একজনকে অপহরণ করা হয়। পুরোধনকে এখনও উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ। এছাড়া গত ৯ মে জেলার কুহালং ইউনিয়নে জয়মনি তঞ্চঙ্গ্যা নামে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির (জেএসএস) আরও এক সমর্থককেও গুলি হত্যা করে সন্ত্রাসীরা। নিহত জয়মনি ছিলেন পেশায় ব্যবসায়ী।

এদিকে মিয়ানমার সীমান্তে সক্রিয় আরাকান লিবারেশন পার্টির একটি দলছুট অংশ বান্দরবানের রাজবিলা ও কুহালং এলাকায় তৎপরতা চালাচ্ছে বলে স্থানীয় বাসিন্দারা অভিযোগ করেছেন। ওই সন্ত্রাসী গ্রুপটি নিজেদের ‘মগ পার্টি’নামে পরিচয় দেয়। সম্প্রতি রাঙামাটির রাজস্থলীতে একটি ঘটনার জের ধরে জেএসএসের সঙ্গে মগ পার্টির বিরোধের সূত্রপাত হয়। ওই ঘটনার পাল্টা–পাল্টি হিসেবে খুন এবং অপহরণের ঘটনা ঘটছে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।

রাজবিলা ইউপি চেয়ারম্যান ক্য অং প্রু মারমা আরো বলেন, রাজবিলা ও কুহালং ইউনিয়নের বাসিন্দারা এ ঘটনায় আতঙ্কে রয়েছে। আতঙ্ক কাটানো ও সন্ত্রাসীদের বিতাড়নের জন্য তাইংখালীতে একটি অস্থায়ী সেনা ক্যাম্প করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। না হলে আবার হত্যা ও অপহরণের মতো ঘটনা ঘটবে বলে আশঙ্কা করছেন তাঁরা।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!