বান্দরবানের দুর্গম পাহাড়ে মিললো বিরল জাতের ১২টি কচ্ছপ, যাচ্ছে গাজীপুর

এক সময় পাহাড়ে ঝিরি-ঝরনাতে অবাধে বিচরণ করা কচ্ছপ এখন অনেকটাই বিলুপ্তির খাতায় নাম লেখাতে চলেছে। প্রতিনিয়ত বন উজাড়, পাথর আহরণ আর শিকারের কারণে পাহাড়ি কচ্ছপের দেখা পাওয়াই দায়।

এরই মধ্যে সাঙ্গু নদীর শেষ সীমানা থেকে বন্য প্রাণী অপরাধ দমন ইউনিট এবং ক্রিয়েটিভ কনজারভেশন অ্যালায়েন্সের (সিসিএ) সম্মিলিত প্রচেষ্টায় বিরল প্রজাতির ১২টি কচ্ছপ উদ্ধার করা হয়েছে।

শুক্রবার (২৭ নভেম্বর) দুপুরে বান্দরবানের থানচি-রেমাক্রী থেকে কাছিমগুলো উদ্ধার করা হলেও সেগুলো আলীকদম পৌঁছায় শনিবার রাতে। পরে রোববার (২৯ নভেম্বর) উদ্ধার করা কাছিমগুলো গাজীপুরে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে বলে জানান অভিযানের নেতৃত্বে থাকা বন্যপ্রাণী পরিদর্শক অসীম মল্লিক।

তিনি আরও জানান, ক্রিয়েটিভ কনজারভেশন অ্যালায়েন্সের সহায়তায় থানচি রেমাক্রী ইউনিয়নের বুলু কার্বারী পাড়া থেকে দুটি শিলা কচ্ছপ, দুটি দিবা কচ্ছপ ও আটটি পাহাড়ি কচ্ছপসহ মোট ১২টি কচ্ছপ উদ্ধার করে বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিট। পাশাপাশি বন্যপ্রাণী শিকার না করার জন্য সচেতন বৃদ্ধির জন্য বিভিন্ন পাড়ায় সভা করা হয়েছে বলে জানান।

বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিটের বন্যপ্রাণী ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ অফিসার রথীন্দ্র কুমার বিশ্বাস জানান, উদ্ধার হওয়া কচ্ছপগুলো গাজীপুরের ভাওয়াল প্রজনন কেন্দ্রে রাখা হবে। পরে প্রজনন শেষে কচ্ছপের বাচ্চাগুলো পার্বত্য অঞ্চলে অবমুক্ত করা হবে।

সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!