বাধা পেলেই গুলি ছুরিতে রক্তাক্ত, মহাসড়কে যাত্রীবেশে চলন্তবাসে ডাকাতি

চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের চকরিয়া থেকে কক্সবাজার অংশে নিয়মিত ছিনতাই করত তারা। ছিনতাই করে হাত পাকিয়ে সংঘবদ্ধভাবে তারা নামে ডাকাতিতে। গত ৬ ও ১২ নভেম্বর দুটি ডাকাতি তারা সফলভাবে সম্পন্নও করে। কিন্তু ২৬ নভেম্বর দিবাগত রাতে ডাকাতি করে আর পার পায়নি তার। র‍্যাবের হাতে এই ডাকাত দলের ছয় সদস্যকে গ্রেফতার হতে হয়।

সোমবার (৩০ নভেম্বর) সকাল ১০টায় র‌্যাব- চট্টগ্রামের চান্দগাঁও ক্যাম্পে এক সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ডাকাত সরদার ইয়াহিয়া প্রকাশ জয়নালসহ ছয় ডাকাতকে আটক করেছে র‌্যাব। এ সময় তাদের কাছ থেকে ২০টি মোবাইল সেট, এক জোড়া স্বর্ণের কানের দুল, একটি হাতঘড়ি, ২ হাজার ৫৮০ টাকা, ২৫৫ আরব আমিরাতের মুদ্রা, ৩০০ ওমানের মুদ্রা জব্দ করা হয়। এছাড়া ডাকাতিতে ব্যবহৃত একটি দেশীয় ওয়ান শুটার গান, এক রাউন্ড ৭ দশমিক ৬২ এমএম রাইফেলের বুলেট ও একটি রামদা উদ্ধার করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে র‌্যাব-৭ অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মশিউর রহমান জুয়েল জানান, ২৬ নভেম্বর যাত্রীবেশে তারা সৌদিয়া কোচ সার্ভিসে উঠে। চকরিয়ার ফাঁসিয়াখালী এলাকায় পৌঁছালে যাত্রীদের তারা জিম্মি করে সর্বস্ব কেড়ে নেয়। এ সময় ডাকাতদের একজন গাড়ির চালকের আসনে বসে প্রায় ২০ কিলোমিটার গাড়ি চালিয়ে নিয়ে যান। এসময় যাত্রীরা ডাকাতির কাজে বাধা দিলে ডাকাতদের গুলিতে দুই জন গুলিবিদ্ধ হন। বেশ কয়েকজনকে তারা ছুরিঘাতও করে।

তিনি আরও বলেন, ‘ডাকাতির ঘটনায় ভুক্তভোগী যাত্রী বেলাল এই ঘটনায় চকরিয়া থানায় মামলা দায়ের করে। ওই মামলার তদন্তভার গ্রহণ করে র‌্যাব। তদন্তে সাত ডাকাতের নাম উঠে আসে। কক্সবাজারের বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে তাদের ছয় জনকে আটক করে র‌্যাব।’

আটককৃতরা হলেন, ডাকাতের দলনেতা মোহাম্মদ ইয়াহিয়া প্রকাশ জয়নাল, সলিমুল্লাহ, সাবের আহমদ, আবুল কালাম, শাহ আমান এবং মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ। এদের মধ্যে মোহাম্মদ আব্দুল্লাহর বাড়ি চট্টগ্রামের পতেঙ্গায়। জয়নাল ও সলিমুল্লাহ’র বাড়ি কক্সবাজার সদরে। বাকি তিনজন চকরিয়ার বাসিন্দা।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, আটককৃতদের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইন, বিদেশি মুদ্রা অবৈধভাবে নিজের কাছে রাখা এবং ডাকাতিসহ বিভিন্ন অভিযোগে মামলা দায়ের করা হবে। তাদেরকে কক্সবাজার সদর ও চকরিয়া থানায় সোপর্দ করার প্রস্তুতি চলছে।

সংবাদ সম্মেলনে র‌্যাব-৭ চট্টগ্রামের কোম্পানি কমান্ডার (সিপিসি-৩, চান্দগাঁও) ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট আলী আশরাফ তুষার, স্কোয়াড কমান্ডার মো. রকিবুল হাসানসহ র‌্যাবের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। এ সময় মামলার বাদী বেলালও ঘটনার বর্ণনা দেন গণমাধ্যমকর্মী সামনে।

এফএম/এমএফও

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!