বাদল দিনেই বাদল এলেন চট্টগ্রামে

হঠাৎ ঘূর্ণিঝড়। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে দিনভর বৃষ্টি, সাথে শীতল হাওয়া। সবমিলিয়ে তৈরি হয় বাদল দিনের আবহ। দিনটা একটি বিশেষ কারণে চট্টগ্রামবাসীর মনে অন্যরকম অনুভূতি সৃষ্টি করে। সন্ধ্যা নাগাদ চট্টগ্রামের সন্তান মঈন উদ্দিন খান বাদল এলেন চট্টগ্রামে। তার মরদেহ প্রথমে রাখা হলো জমিয়াতুল ফালাহ জাতীয় মসজিদ ময়দানে। সতীর্থ, শুভার্থী, স্বজনদের ভীড় পুরো মাঠজুড়ে। তখন কফিনে ঝরছিল বৃষ্টির কান্না। যেন বাদলা দিনে বাদল এলেন চট্টগ্রামে!

বেদনাভরা হৃদয় নিয়ে মুক্তিযোদ্ধা ও বর্ষীয়ান এ রাজনীতিবিদকে একনজর দেখতে এলেন মন্ত্রী, সাংসদ, রাজনীতিবিদ, প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তারাসহ সর্বস্তরের মানুষ। ফুলে ফুলে ঢেকে গেলো কফিন, দেওয়া হলো রাষ্ট্রীয় সম্মান গার্ড অব অনার।

চট্টগ্রামের প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তারা স্যালুট দিয়ে সম্মাননা জানান মঈন উদ্দিন খান বাদলকে।
চট্টগ্রামের প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তারা স্যালুট দিয়ে সম্মাননা জানান মঈন উদ্দিন খান বাদলকে।

মঈন উদ্দিন খান বাদলের রাজনৈতিক সহচর-সঙ্গীরা অনুভূতিতে জানালেন তাদের কষ্টের কথা, বেদনার কথা। সে সঙ্গে মঈন উদ্দিন খান বাদলের রাজনৈতিক প্রজ্ঞা ও বিচক্ষণতার কথা। অনেকেই স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে কেঁদেছেন, কেঁদেছেন সাবেক মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনও— ব্যক্তিগত জীবনে যিনি ছিলেন তার ঘনিষ্ঠ বন্ধু। শোকার্ত শুভার্থীদের কান্না ও প্রকৃতির কান্না মিলেমিশে একাকার হয়ে গিয়েছিল বিকেল কেটে সন্ধ্যা নেমে আসা জমিয়াতুল ফালাহ মসজিদে। ভালোবাসার এই মানুষটির জন্য মানুষ ও প্রকৃতির কান্নায় এক বেদনাবিধুর পরিবেশ সৃষ্টি করে। মৃত্যুর দুইদিন পর বাদল এলেন চট্টগ্রামে, যেন সাথে এলেন অশ্রুসিক্ত প্রকৃতি, বাদল দিন।

জমিয়াতুল ফালাহ ময়দানে শেষ শ্রদ্ধা জানানোর পর সন্ধ্যা ৬টায় কফিনবাহী গাড়ি চলতে শুরু করে বোয়ালখালীর দিকে। সিরাজুল ইসলাম কলেজ মাঠে তৃতীয় জানাজা শেষে খান বাড়ি সংলগ্ন মাঠে হবে শেষ জানাজা। তারপর চিরনিদ্রায় শায়িত হবেন মা-বাবার পাশে।

এফএম

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!