বাজেটে নিম্নমানের সিগারেটের দাম কমবে, ধুমপায়ী বৃদ্ধির আশংকা তামাক বিরোধী সংগঠনগুলোর

তামাকজাত পণ্যের ওপর সম্পূরক শুল্ক বৃদ্ধি, সুনির্দিষ্ট করারোপ, সরকারের রাজস্ব বৃদ্ধি এবং জনস্বাস্থ্য রক্ষার দাবিতে মানববন্ধন করেছে চট্টগ্রামের বিভিন্ন তামাক বিরোধী সংগঠন। সোমবার (১৭ জুন) বিকাল চারটায় নগরীর প্রেস ক্লাবের সামনে এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়।

এতে বক্তারা বলেন,‘২০১৯-২০ অর্থ-বছরের প্রস্তাবিত বাজেটে নিম্নস্তরের সিগারেটের দাম বৃদ্ধি করা হয়েছে শলাকা প্রতি ২০ পয়সা যা মাত্র ৫ দশমিক ৭ শতাংশ বেড়েছে। অথচ এ সময়ে জনগণের মাথাপিছু আয় বেড়েছে ১১ দশমিক ৩২ শতাংশ। আমাদের দেশের ধুমপায়ীদের প্রায় ৭২ শতাংশই হলো গরীব বা নিম্নস্তরের সিগারেটের ভোক্তা। যাদের চিকিৎসাসেবা গ্রহণের সামর্থ্য নেই বললেই চলে। ফলে প্রস্তাবিত বাজেট কার্যকর হলে এই স্তরের সিগারেটের প্রকৃত মূল্য হ্রাস পাবে এবং ব্যবহার বাড়বে। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হবে আমাদের দেশের গরীব জনগোষ্ঠী। এতে নিম্নস্তরের সিগারেটের দাম কমবে এবং বাড়বে ধুমপায়ীর সংখ্যাও।’

মানববন্ধনে বক্তারা আরো বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী ২০৪০ সালের মধ্যে তামাকমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার অঙ্গীকার ব্যক্ত করে একটি শক্তিশালী তামাক শুল্ক নীতি গ্রহণের নির্দেশনা প্রদান করলেও ওই নির্দেশনার কোনো প্রতিফলন প্রস্তাবিত বাজেটে নেই।এটি সার্বিকভাবে তামাক বিরোধীদের জন্য হতাশাজনক।’

এ অবস্থায় জনস্বাস্থ্য রক্ষার দাবিতে তামাক পণ্যের উপর সুনির্দিষ্ট করারোপ করার দাবি জানান তারা।

‘ক্যাম্পেইন ফর টোব্যাকো ফ্রি কিড্স’ (সিটিএফকে)-এর সহযোগিতায় স্থায়িত্বশীল উন্নয়নের জন্য সংগঠন ইপসা, বিটা, ইলমা ও ক্যাব যৌথভাবে এ কর্মসূচির আয়োজন করে। ইপসার প্রোগ্রাম অফিসার মো. ওমর শাহেদের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে বক্তব্য দেন সিটি কর্পোরেশনের ১৫ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. গিয়াস উদ্দিন, ইলমার প্রধান নির্বাহী জেসমিন সুলতানা পারু এবং চট্টগ্রামে তামাক বিরোধী সাংবাদিক জোট এন্টি ট্যোবেকো মিডিয়া এলায়েন্সের (আত্মা) সদস্যরা।

মানববন্ধনে আরো উপস্থিত ছিলেন আত্মার সদস্য লতিফা আনসারি রুনা, কামরুল হুদা, শাহরিয়ার হাসান, ক্যাব নেতা জানে আলম, মো. সালাউদ্দিন, রুবায়াত সিদ্দিকী রকি, বিটার প্রকল্প সমন্বয়ক প্রদীপ আচার্য প্রমুখ।

এমএ/এসএস

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!