চট্টগ্রামের শেয়ারবাজার/ বাজেটের পর টানা দরপতন, লেনদেন ও সূচকে অবনতি

২০১৯-২০২০ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট ঘোষণার পর টানা দরপতনের মধ্য দিয়ে চলছে দেশের পুঁজিবাজার। চলছে লেনদেন ও সূচকের অব্যাহত অবনতি। এর ফলে দুরবস্থার কবলে পড়েছে দেশের দ্বিতীয় প্রধান পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই)। এতে বিনিয়োগকারী ও স্টেক হোল্ডারসহ পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের মধ্যে চরম অসন্তোষ ও হতাশা বিরাজ করছে। তাদের অভিযোগ, সিএসই ও কমিশনসহ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলা শেয়ারবাজারের উন্নয়নে যথাযথ ব্যবস্থা নিচ্ছে না। এ অবস্থায় অর্থমন্ত্রী আ হ ম মোস্তফা কামালের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন চট্টগ্রামের বিনিয়োগকারীরা।

সর্বশেষ বুধবারও (৩ জুলাই) পতনের মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে চট্টগ্রামের শেয়ারবাজার। সিএসইতে লেনদেন কমার সাথে সাথে সব ধরনের সূচকের পতন হয়েছে। একইসঙ্গে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দর কমেছে।

বুধবারের সিএসই বাজার বিশ্লেষণে দেখা যায়, সিএসই প্রধান বা সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ৪৬ দশমিক ৮০ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ১৬ হাজার ৪৬৫ পয়েন্টে। অন্য সূচকগুলোর মধ্যে সিএসই সাধারণ সূচক সিএসসিএক্স ২৭ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ৯ হাজার ৯৮৩ পয়েন্টে; সিএসই-৩০ ইনডেক্স ৩১ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ১৪ হাজার ৩৩৭ পয়েন্টে; সিএসই-৫০ ইনডেক্স ৩ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ১ হাজার ১৯৭ পয়েন্টে এবং সিএসই শরীয়াহ ইনডেক্স শুন্য দশমিক ৪১ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ১ হাজার ৭৮ পয়েন্টে।

সিএসইতে বুধবার লেনদেন হয়েছে ৩৩ কোটি ৩৫ লাখ ২৬ হাজার ৭৬০ টাকার শেয়ার। মঙ্গলবার (২ জুলাই) লেনদেনের পরিমাণ ছিল ৫৪ কোটি ১৬ লাখ ৮৭ হাজার ৫৯৪ টাকার শেয়ার। অর্থাৎ একদিনের ব্যবধানে সিএসইতে লেনদেন কমেছে ২০ কোটি ৮১ লাখ ৬০ হাজার ৩৮৪ টাকা।

বুধবার সিএসইতে ২৬৮টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে ১৩২ টি কোম্পানির শেয়ারের দর কমেছে; বেড়েছে মাত্র ৯৮টি কোম্পানির শেয়ারের দর এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৩৮টির দাম।

ইনভেস্টর ফোরাম অব চট্টগ্রামের যুগ্ম আহ্বায়ক এমএ কাদের চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘বাজেট ঘোষণার পর থেকেই পুঁজিবাজারে টানা দরপতন চলছে। এর ফলে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে হতাশা বিরাজ করছে। শেয়ারবাজারের উন্নয়নে সিএসই, বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন কোন ভূমিকা রাখছে না। ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশের ভূমিকাও সন্তোষজনক নয়। শেয়ারবাজারে তাদের ভূমিকা নিয়ে আমাদের সংশয় রয়েছে। এ অবস্থায় শেয়ারবাজারের অব্যাহত দরপতন ঠেকাতে বাংলাদেশ ব্যাংক, কমিশন ও অর্থমন্ত্রীর ভূমিকা আশা করছি আমরা।’

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!