বাঘাইছড়ি থেকে অস্ত্রের মুখে ১৫ জনকে অপহরণ, নেপথ্যে জেএসএস?

রাঙামাটির বাঘাইছড়ির বঙ্গলতলী ইউনিয়নের করেঙ্গাতলী বাজারে ফাঁকা গুলি ছুড়ে ১৫ জনকে অপহরণের অভিযোগ উঠেছে। অপহৃতদের মধ্যে ১০ জনকে ছেড়ে দেওয়া হলেও অবশিষ্ট পাঁচজনকে নিয়ে শঙ্কায় স্বজনরা। শনিবার (২৯ জুন) সকালে এই ঘটনা ঘটে। অভিযোগের তীর জনসংহতি সমিতি-জেএসএসের (এমএন লারমা) দিকে হলেও সংগঠনটি তা অস্বীকার করেছে।

স্থানীয় এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, শনিবার করেঙ্গাতলী বাজারে হাটের দিন ছিল। সকাল আটটা থেকেই লোকজনের আনাগোনায় বাজার জমে উঠে। একপর্যায়ে আট থেকে ১০ জন অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী বাজারে প্রবেশ করে কিছুক্ষণের মধ্যে ফাঁকা গুলি ছোড়ে। গুলির শব্দে বাজারে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়লে অস্ত্রধারীরা বিভিন্ন গ্রামে থেকে আসা অন্তত ১৫ ব্যক্তিকে অস্ত্রের মুখে অপহরণ করে নিয়ে যায়। এ সময় তারা ১০ থেকে ১৫টি ফাঁকা গুলি ছোড়ে।

অপহরণ করে নিয়ে যাওয়ার পথে বিকেলে ১০ জনকে ছেড়ে দিয়েছে। তারা হলেন শান্তি কুমার চাকমা, পূর্ণ সাধন চাকমা, প্রিয়ময় চাকমা, তপন চাকমা, অমর চার্য চাকমা, মংগে চাকমা, সুবেশ চাকমা, কান্দারা চাকমা, সচারুময় চাকমা ও ধন কুমার চাকমা।

অহরণকারীদের হাতে আটক থাকা পাঁচ ব্যক্তি হলেন অঙ্গত চাকমা, সন্তোষ কুমার চাকমা, সঞ্চয় চাকমা ও অজয় চাকমা এবং অরুণ চাকমা। অপহরণকারীরা স্বজন ও গ্রাম প্রধানদের খবর দিয়েছে তাদের সাথে যোগাযোগ করতে। গ্রামপ্রধানরা স্বজনদের জানিয়েছেন, অপহরণকারীদের সঙ্গে তারা যোগাযোগের চেষ্টা করছেন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, অস্ত্রধারীরা জনসংহতি সমিতির (এমএন লারমা) সশস্ত্র কর্মী। কাচালং নদী পার হয়েই অপহরণকারীরা বাজারে প্রবেশ করেছিল।

রাঙামাটি জেলা পুলিশ সুপার আলমগীর কবির ও বাঘাইছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবুল মঞ্জুরের মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন করেও সংযোগ পাওয়া যায়নি।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!