বাঘাইছড়িতে হামে আক্রান্ত মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৭

জেলা প্রশাসকের তদন্ত টিম গঠন

রাঙামাটির বাঘাইছড়ি সাজেকের দুর্গম পাহাড়ি ৩ গ্রামে হামের সংক্রমণ থামছেই না।

সোমবার (২৩ মার্চ) সকালে চিকিৎসাধিন অবস্থায় মারা গেছে গেরাতি ত্রিপুরা নামের ৯ বছরের আরেক শিশু। এনিয়ে হামে আক্রান্ত হয়ে গত ২০ দিনে ৭ শিশু মৃত্যুবরণ করেছে।

বাঘাইছড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্র ও বিজিবির ৩ টি মেডিকেল টীম চিকিৎসা সেবায় কাজ করলেও আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েই চলছে। রাঙামাটির সিভিল সার্জান ডা. বিভাশ খিশা জানান- এখন পর্যন্ত ১২০ জন শিশু আক্রান্ত অবস্থায় আছে। তবে শীঘ্রই সেনাবাহিনীর হেলিকপ্টারের সহায়তা মেডিকেল টীম পাঠানোর প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে।

এদিকে পাহাড়ে হঠাৎ হামের প্রদুর্ভাব দেখা দেয়া এবং শিশু মৃত্যুর ঘটনায় এরই মধ্য ইপিআই প্রোগ্রাম মেনেজার ডা. মাওলা বক্স চৌধুরীর নেতৃত্বে বিশ্ব স্ব্যাস্থ্য সংস্থার ডা. আরিফুল ইসলাম সহ ঢাকা থেকে ৪ সদস্যের একটি চিকিৎসক দল বাঘাইছড়ি পৌঁছেছে।

চিকিৎসক দলের উপস্থিতিতে এসময় উপজেলা স্ব্যাস্থ্য কমপ্লেক্সে এক জরুরি সভার আয়োজন করা হয়। এতে জেলা সিভিল সার্জান ডা. বিভাশ খিশা, উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা আহসান হাবিব জিতু, উপজেলা স্ব্যাস্থ্য কমপ্লেক্সের টিএসও ডা. ইফতেখার আহম্মদ সহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

সভা শেষে ইপিআই পোগ্রাম মেনেজার ডা. মাওলা বক্স চৌধুরী চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, বাঘাইছড়ি উপজেলার সাজেক ইউনিয়নটি খুবই দুর্গম। যেখানে একজন স্বাস্থ্য কর্মীর পায়ে হেঁটে পৌঁছাতে ১ দিন লেগে যায়। আমরা সংবাদ পাওয়া মাত্র ৫ টি মেডিকেল টীম পাঠিয়েছি।

আমরা চেষ্টা করছি সাজেক অঞ্চলটিকে নিয়ে একটি বৃহৎ কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে। শীঘ্রই সেনাবাহিনীর সহায়তায় হেলিকপ্টারে আরো মেডিকেল টীম পাঠানোর প্রস্তুতিও চলছে। কিছুদিনের মধ্য অবস্থা উন্নতি হবে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আহসান হাবিব জিতু বলেন- হঠাৎ হামের প্রদুর্ভাব ও শিশু মিত্যুর ঘটনায় জেলা প্রশাসকের কার্যলয় থেকে ইউএনও বাঘাইছড়িকে প্রধান করে একটি তদন্ত টীম গঠন করা হয়েছে, শীঘ্রই তদন্ত রিপোর্ট প্রেরণ করা হবে।

এসএইচ

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!