বাকলিয়ায় মহিউদ্দিন চৌধুরীর শোকসভা

দক্ষিণ বাকলিয়া ১৯নং ওয়ার্ড’র উদ্যোগে স্থানীয় বৌ বাজার অংকুর স্কুলে চট্টল বীর, মুক্তিযোদ্ধা সাবেক সফল মেয়র, চট্টগ্রামের ভাগ্য বিধাতা, সাবেক সভাপতি আলহাজ্ব এ, বি, এম মহিউদ্দিন চৌধুরীর স্মরণে এক শোক সভার আয়োজন করা হয়।
কোরান তেলওয়াত ও ১ মিনিট নীরবতা পালনের মধ্য দিয়ে ওয়ার্ড সভাপতি শাহীন ফেরদৌসীর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক শবনম ফেরদৌসীর সঞ্চালনায় সভা শুরু হয়।
প্রথমে সঞ্চালক এ, বি, এম মহিউদ্দীন চৌধুরীর জীবন বৃত্তান্ত পড়ে শোনান।
এতে বক্তব্য রাখেন যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আকলিমা বেগম, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক শাহিদা বেগম, সাংগঠনিক সম্পাদক হাসিনা মমতাজ, শিক্ষা সম্পাদক রোপী দাশ, সদস্য ফাতেমা বেগম এবং সবশেষে সভাপতি তাঁর বক্তব্যে মহিউদ্দীন চৌধুরীর প্রতি বঙ্গবন্ধুর অপরিসীম ভালবাসা, ৭১-এ মুক্তিযুদ্ধের সময় তাঁর ওপর পাকিস্তানী সেনাবাহিনীর নির্মম নির্যাতনের কথা, ৭৭ সালে জিয়া সরকারের হাতে গ্রেফতার হওয়া এবং হুলিয়া মাথায় নিয়ে অমানবিক কষ্টকর জীবন-যাপনের কথা, ৮১ সালে বেদখল হয়ে যাওয়া আওয়ামীলীগ অফিস দখল করে নেত্রী শেখ হাসিনাকে অফিস বুঝিয়ে দেয়া।
৯১ সালের ঘূর্ণিঝড় ও বন্দরটিলার নৌবাহিনী কর্তৃক পুড়িয়ে দেয়া লাশ পঁচা গন্ধে যখন বাতাস ভারী এবং অন্যান্য নেতারা নাকে রুমাল চেপে মায়াকান্নায় ব্যক্ত, তখন তিনি এই পঁচা ও পোড়া লাশ নিজ হাতে দাফন করেছেন। ১/১১ সরকার তাঁকে ২ বছর অমানুষিক নির্যাতন করে এবং তাঁর আদরের কন্যা মৃত্যুপথযাত্রী টুম্পাকে ও শেষ দেখা দেখতে দেয়নি ইত্যাদি বিভিন্ন তথ্যগুলো ওঠে এসেছে তাঁর বক্তৃতায়।
এ সময় অনেককেই চোখের জল মুছতে দেখা যায়।
চট্টগ্রামের রয়েল বেঙ্গল টাইগার অন্ধকারে আলোর প্রদীপ গণমানুষের নেতা মহিউদ্দিন চৌধুরী তাঁর আত্মার মাগফেরাত কামনা করি, আল্লাহ যেন তাঁকে জান্নাতের বাগানে স্থান দেন।
পরিশেষে কবি নাজিমুদ্দিন শ্যামলের “চট্টল বীর” কবিতাটি আবৃত্তি করেন সভাপতি শাহীন ফেরদৌসী। প্রেস বিজ্ঞপ্তি ।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!