বাকলিয়ায় চোরের দাপটে খোয়া যাচ্ছে শখের মোবাইল

চট্টগ্রামের বাকলিয়া এলাকায় বিয়ে কিংবা সামাজিক অনুষ্ঠানে মোবাইল চুরি করছে একটি নারী অপরাধী চক্র। কাজের বুয়া সেজে সাময়িকভাবে এসব আয়োজনে সম্পৃক্ত হয়ে তারা সুযোগ বুঝে চুরি করছে মোবাইল ফোন। শুধু তাই নয়, সুসম্পর্কের খাতিরে মাঝেমধ্যে গৃহস্থালীর কাজও করে দেন তারা। এই সুযোগে মোবাইল বা নগদ টাকাপয়সা নিয়ে চলে যায় এ চক্রের সদস্যরা।

গত ৪ ডিসেম্বর বউ বাজার এলাকার উকিল সাহেবের বিল্ডিংয়ের নীচ তলায় একটি আইফোনসহ তিনটি মোবাইল সেটসহ নগদ ১০ হাজার টাকা চুরি হয়। এই চক্রের সদস্যরাই এ চুরির ঘটনার সাথে সম্পৃক্ত বলে সন্দেহ করছে স্থানীয়রা।

জানা গেছে, নগরীর বাকলিয়া থানার বউ বাজার এলাকার সমাজ কমিটি অফিসের পশ্চিম পার্শ্বে উকিল সাহেবের বিল্ডিংয়ের নীচ তলায় মো. সুমন নামে এক ব্যক্তির একটি আইফোনসহ তিনটি মোবাইল চুরি হয়। এ সময় সুমনের মানিব্যাগ থেকে চুরি হয় নগদ ১০ হাজার টাকা। এ ঘটনায় বাকলিয়া থানায় সাধারণ ডায়েরী দায়ের করা হয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ভুক্তভোগী মো.সুমন চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘গত শুক্রবার রাতে বাকলিয়া বউ বাজার এলাকার উকিল সাহেবের বিল্ডিংয়ের নীচ তলায় আমার শশুরের বাসায় যাই। রাতে ২টার দিকে ঘুমাতে গেলে বেডরুমে থাকা টেবিলে ১টি আইফোন এক্স ও ১টি স্যামসাং এস-৮ ব্রান্ডের স্মার্টফোন এবং ১টি ৩৩১০ মডেলের নকিয়া ফোন সেটসহ মানিব্যাগে থাকা নগদ দশ হাজার টাকা রেখে ঘুমিয়ে যাই। সকালে ৮টার দিকে ঘুম থেকে উঠে দেখি টেবিলে রাখা মোবাইল ও মানিব্যাগ নেই। পরে অনেক খুঁজাখুঁজি করেও পাওয়া যায়নি।’

তিনি বলেন, ‘এই এলাকায় একটি নারী চক্র মোবাইল চুরি করে বলে জেনেছি। তারা বিভিন্ন বাসায় গৃহস্থালীর কাজের নামে সম্পর্ক গড়ে এই কাজ করে। বিয়ে কিংবা সামাজিক অনুষ্ঠানে তাদের তৎপরতা বেশি। আমার চুরি হয়ে যাওয়া মোবাইল সেটে গুরুত্বপূর্ণ কিছু ডাটা রয়েছে। আর চুরি হয়ে যাওয়া মোবাইলগুলোর আইএমইআই নাম্বার জানা নেই। আমি বাকলিয়া থানায় একটি সাধারণ অভিযোগ করি।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাকলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নেজাম উদ্দিন চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘আমাদের কাছে অভিযোগ করেছে। অভিযোগের ভিত্তিতে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। বাসার বিল্ডিংয়ে সিসিটিভি আর মোবাইলের আইএমইআই না থাকার কারণে অপরাধীকে চিহ্নিত করতে একটু সময় লাগছে।’

এএন/এমএফও

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!