বাইক চুরি বেড়েছে সাতকানিয়ায়

চট্টগ্রামের সাতকানিয়া কেরানিহাট এলাকায় সক্রিয় হয়ে উঠেছে মোটরসাইকেল চোর সিন্ডিকেট। কেরানিহাট কাঁচাবাজার ও এর আশপাশের এলাকায় গত ছয় মাসে চুরি হয়েছে বিভিন্ন মডেলের অন্তত ১২টি মোটরসাইকেল। চুরি যাওয়া এসব মোটরসাইকেল উদ্ধারে স্থানীয় প্রশাসনের উদ্যোগ নেই বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। তবে পুলিশের কর্মকর্তারা বলছেন, বাইক মালিকদের অসচেতনাসহ বিভিন্ন সীমাবদ্ধতার কথা।

পুলিশ জানায়, বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই মোটরসাইকেলসহ প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র হারিয়ে যাওয়ার পর থানায় অভিযোগ করতে আগ্রহী নয় ভুক্তভোগীরা। কিছু ক্ষেত্রে সঠিক সময়ে চুরির তথ্য দিতে না পারায় উদ্ধার করা সম্ভব হচ্ছে না চুরি যাওয়া এসব বাইক।

তবে ভুক্তভোগীরা বলছেন, বাইক চুরির সিন্ডিকেটের বেশির ভাগই ইয়াবা কারবারসহ মাদক ব্যবসায়ের সঙ্গে জড়িত। সাতকানিয়া-কক্সবাজার হয়ে চট্টগ্রাম শহরে মাদক চোরাচালানে ব্যবহৃত হচ্ছে এসব চোরাই মোটরসাইকেল।

সর্বশেষ রোববার (৮ মার্চ) ওই এলাকায় চুরি হয় একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা রুবেল দাশের মোটর সাইকেল।

তিনি চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে জানান, এপাচি ১৫০ মডেলের প্রায় দেড় লাখ টাকার বাইকটি তার বাসার নিচে পার্কিং থেকে মধ্য রাতে চুরি করে নিয়ে যায় চোর চক্রের সদস্যরা। এর প্রায় দু’মাস আগে ওই এলাকা থেকে চুরি হয় সুমন দাশের আরও একটি ডিসকভার ১২৫ মডেলের মোটরসাইকেল। গত ছয় মাসে ওই এলাকায় গফুর বিল্ডিং, সোনামিয়া বিল্ডিং ও কেরানিহাটের আশপাশের বিভিন্ন বিল্ডিং থেকে চুরি করে নিয়ে যায় অন্তত ১২টি মোটরসাইকেল।

কেরানি হাট এলাকার স্থায়ী বাসিন্দা নজরুল ইসলাম বলেন,‘সম্প্রতি উদ্বেগজনকহারে বেড়েছে বাইক চুরির ঘটনা। কিন্তু এ সমস্যা সমাধানে স্থানীয় কিংবা প্রশাসনের কোন সদিচ্ছা নেই।’

উদ্বেগজনক হারে মোটরসাইকেল চুরির ঘটনা বেড়ে যাওয়ার ব্যাপারে সাতকানিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিউল কবির চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, চুরির সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে আমরা তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়ার চেষ্টা করি। কিন্তু অভিযোগ না পেলে কী করার আছে। তাছাড়া বাইক চোর চক্রের কোন ধরণের তথ্য নেই বলেও জানান ওসি।

এএ/এসএ

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!