বাইকের বেপরোয়া গতিতে প্রাণ গেল গৃহবধূর

চট্টগ্রামের বাঁশখালী পৌরসভার দক্ষিণ জলদী গ্রামের মনছুরিয়া বাজারের অদূরে রাস্তার পূর্ব পাশে ভ্যান চালক আবদুস শুক্কুরের স্ত্রী মুন্নী আক্তার প্রকাশ মনোয়ারার বাড়ি। রাস্তার পশ্চিম পাশে চলছিল এক আত্মীয়ের মৃত্যু উপলক্ষে মেজবান। সে মেজবানে অংশ নিতে যান মনোয়ারা (২২)। কিন্তু মেজবান শেষে আর বাড়ি ফেরা হল না তার। দ্রুতগামী এক মোটরসাইকেল কেড়ে নিল ওই গৃহবধূর প্রাণ।

শুক্রবার (১২ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১২টা ২০ মিনিটে মনোয়ারা রাস্তা পার হয়ে বাড়ি ফিরছিলেন। ওই সময় দ্রুতগামী মোটরসাইকেল চালক মো. সাগর নামের এক কিশোর চালক প্রথমে ওই গৃহবধূকে ধাক্কা দেন। তিনি রাস্তায় পড়ে গেলে ওই মোটরসাইকেলটি মনোয়ারার মাথার ওপর চাপা দিয়ে অদূরে ছিটকে পড়ে। ওই সময় কিশোর মো. সাগরেরও মাথা ফেটে যায়।

পথচারীরা দ্রুত গৃহবধূ মনোয়ারাকে রক্তাক্ত অবস্থায় বাঁশখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। ওইখানকার কর্তব্যরত ডাক্তার আশংকাজনক অবস্থায় তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন।কিন্তু ততক্ষণে প্রাণ যায় মনোয়ারার।

হাসপাতালে নিয়ে যাবার সময় পথিমধ্যে দুপুর ২টায় অ্যাম্বুলেন্সেই মারা যান মনোয়ারা। বর্তমানে মনোয়ারার লাশ বাঁশখালী হাসপাতালেই রয়েছে।

মায়ের মৃত্যুর খবরে দুই শিশু সন্তানের কান্নায় পরিবেশ ভারী হয়ে এসেছে। পুলিশ মোটর সাইকেলটি জব্দ করেছে।

তবে মোটরসাইকেল চালক কিশোর বাঁশখালী পৌরসভার দক্ষিণ জলদী গ্রামের শফিউর রহমানের পুত্র মো. সাগর (১৫) পালিয়ে গেছে।

অপরদিকে মনোয়ারা মারা যাবার পর স্থানীয় একটি দালাল গ্রুপ টাকার বিনিময়ে ঘটনা মীমাংসার জন্য তৎপর হয়ে পড়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

নিহত মনোয়ারার বাবা জাকের আহমদ বলেন, ‘মনোয়ারার ২টি শিশু সন্তান রয়েছে। তার স্বামী আব্দুর শুক্কুর ঘরজামাই হিসেবে থাকত। আব্দুর শুক্কুরের বাড়ি কক্সবাজারের ঈদগাঁ গ্রামে।’

বাঁশখালী থানার এসআই নাজমুল হক বলেন, ‘ ঘটনার পর পর ঘাতক মোটরসাইকেলটি পুলিশ জব্দ করেছে। আহত কিশোর মোটর সাইকেল চালক কোথায় পালিয়ে গেছে খোঁজ নেওয়া হচ্ছে। পুলিশ লাশ উদ্ধার করেছে। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

কেএস

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!