বাংলাদেশ-স্বাগতিক শ্রীলঙ্কার ‘এ’ দলের শেষ ম্যাচটিও ড্র

প্রথম ম্যাচের মতো ‘এ’ দলের বাংলাদেশ বনাম স্বাগতিক শ্রীলঙ্কা দলের চার দিনের দ্বিতীয় চারদিনের ম্যাচও ড্র হয়েছে। হাম্বানটোটায় মুমিনুল হকের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ ‘এ’ দল শেষ দিন ১০৭ ওভার বল করলেও দুই উইকেটের বেশি ফেলতে পারেনি। লঙ্কানদের প্রথম ইনিংসে ২৬৮ রানে গুটিয়ে দিয়ে বাংলাদেশ তুলেছিল ৩৩০ রান। নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে লঙ্কানরা ২ উইকেটে তুলেছে ৩৫৭ রান। দুই ম্যাচের সিরিজটি ০-০ তে শেষ হলো।

প্রথম ইনিংসে মেহেদি হাসান মিরাজ একাই নিয়েছেন সাতটি উইকেট। ব্যাট হাতে নেমে দলপতি মুমিনুল সেঞ্চুরির দেখা পেয়েছেন। ফিফটির দেখা পেয়েছেন ওপেনার সাদমান ইসলাম। সফরকারীদের পাওয়া বলতে এতটুকুই।

প্রথম ইনিংসে লঙ্কান ওপেনার নিশানকা ৮৫, কামিন্দু মেন্ডিস ৬২, দলপতি আশান প্রিয়াঞ্জন ২৮, আশালাঙ্কা ৪৪ আর লাহিরু উদারা করেন ২০ রান। মেহেদি হাসান মিরাজ ৩৭ ওভারে ১৪ মেডেন নিয়ে ৮৪ রান খরচায় পান সাতটি উইকেট। পেসার এবাদত হোসেন ২৩ ওভারে ৬২ রানের বিনিময়ে তুলে নেন দুটি উইকেট। সালাউদ্দিন শাকিল একটি উইকেট নিয়েছেন।

ব্যাটিংয়ে নেমে ওপেনার জহুরুল ইসলাম ব্যক্তিগত ১ রানে বিদায় নেন। আরেক ওপেনার সাদমান ১০৪ বলে আটটি চার আর একটি ছক্কায় করেন ৭৭ রান। তিন নম্বরে নামা নাজমুল হোসেন শান্ত ৯ রানে সাজঘরে ফেরেন। চার নম্বরে নেমে দলপতি মুমিনুল হক খেলেন ১১৭ রানের ইনিংস। তার ১৯০ বলে সাজানো ইনিংসে ছিল ১৫টি চার আর একটি ছক্কার মার। মোহাম্মদ মিঠুনের ব্যাট থেকে আসে ২১ রান। এনামুল হক বিজয় ৮ রানে ফেরেন। নুরুল হাসান সোহান ৩৬ এবং মেহেদি হাসান মিরাজ করেন অপরাজিত ৩৮ রান।

লঙ্কানদের হয়ে ৫টি উইকেট তুলে নেন মোহামেদ সিরাজ। তিনটি উইকেট পান প্রভাত জয়সুরিয়া এবং দুটি উইকেট পান আশিথা ফার্নান্দো। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নেমে লঙ্কান ওপেনার নিশানকা ১৯২ আর কোরায় ৮৯ রান করেন। কামিন্দু ৬৭ রানে অপরাজিত থাকেন। মিরাজ ৩৭ ওভার বল করে খরচ করেছেন ১১৮ রান। ২১ ওভারে ৬১ রান দিয়ে উইকেটশূন্য ছিলেন ইবাদত হোসেন। রিশাদ হোসেন ২৩ ওভারে ৭৮ রান দিয়ে একটি উইকেট পান।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!