চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসে দুটি একাউন্ট সম্পর্কে মাইক্রো ব্লগিং সাইট টুইটারের কর্তৃপক্ষের কাছে তথ্য চেয়েছিল বাংলাদেশ সরকার। কিন্তু সরকারের সেই অনুরোধে সাড়া দেয়নি কর্তৃপক্ষ।
টুইটার তাদের চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত সময়ের ট্রান্সপারেন্সি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। প্রতিবেদনে কোন দেশ কতটি একাউন্ট সম্পর্কে তথ্য জানতে অনুরোধ করেছে এবং টুইটার কত শতাংশ অনুরোধ রেখেছে তার হিসাব রয়েছে।
এর আগে গত বছরের প্রথম ছয় মাসে বাংলাদেশ একটি একাউন্টের তথ্য চেয়েছিল। তখনও সরকারকে কোনো তথ্য সরবরাহ করেনি টুইটার কর্তৃপক্ষ।
এই ছয় মাসে টুইটারের কাছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে মোট ৭ হাজার ৩০০ অনুরোধ গেছে। যার মধ্যে নির্দিষ্ট হিসেবে ১২ হাজার ৫১৯ একাউন্টের তথ্য জানতে চেয়েছে টুইটারের কাছে। এর মধ্যে ৪৮ শতাংশ একাউন্টের তথ্য সরবরাহ করেছে টুইটার।
এছাড়াও টুইটার কর্তৃপক্ষ লিগ্যাল ডিমান্ড হিসেবে ১৭ হাজার ৫১০টি অনুরোধ পায়। সেসব অনুরোধে মোট ৫০ হাজার ৭৫৭টি একাউন্ট সরিয়ে নেওয়ার অনুরোধ পায় টুইটার। তারপর সবকিছু বিচার বিশ্লেষণ করে টুইটার ৩৫৪টি একাউন্ট এবং ২ হাজার ১০৩টি টুইট সরিয়ে নেয়।
অবশ্য বাংলাদেশ সরকার আইনগত কারণ দেখিয়ে কোনো একাউন্টের তথ্য জানতে চায়নি।