বাংলাদেশের কঠিন সময়ে শুক্রবার শুরু ত্রিদেশীয় টি-টোয়েন্টি সিরিজ

বাংলাদেশের ক্রিকেটে চলছে বড্ড কঠিন সময়। আফগানিস্তানের কাছে একমাত্র টেস্টে লজ্জাজনক হার, এরপর জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে অনুশীলন ম্যাচে মুশফিক-সাব্বিরদের নিয়ে বিসিবি একাদশের হার। তারও আগে আফগানিস্তান ‘এ’ দলের কাছে সিরিজ হার, ইংল্যান্ডে অনূর্ধ্ব-১৯ দলের ফাইনালে হার (দলটি শ্রীলঙ্কায় চলমান এশিয়া কাপের ফাইনালে উঠেছে), ভারতে বিসিবি একাদশের মিনি রঞ্জি ট্রফিতে হার সব মিলিয়ে বাংলাদেশের ক্রিকেট যেন রয়েছে ঘোর অন্ধকার পথে। সেটির সাথে বিশ্বকাপে বাংলাদেশের দশ দলের মধ্যে আট নম্বর হওয়া যোগ করলে ক্রিকেটের বাংলাদেশের বাস্তব চিত্র উঠে আসবে।

গত সপ্তাহে আফগানিস্তানের কাছে সদ্য টেস্ট হেরে মানসিকভাবে অনেকটা পিছিয়ে গেছে বাংলাদেশ। এর মাঝেই আগামীকাল শুক্রবার থেকে দেশের মাটিতে শুরু হচ্ছে ত্রিদেশীয় সিরিজ। সব ফরম্যাটের ক্রিকেটে পরাজয়ের বৃত্ত থেকে বেরিয়ে আসতে চায় বাংলাদেশ। ক্রিকেট পাগল জাতিকে হতাশা মুক্ত করতে ত্রিদেশীয় টি-টোয়েন্টি সিরিজের ট্রফি জয়ের লক্ষ্য স্থির করলেও বাস্তবতা ভিন্ন। বাস্তবে বাংলাদেশের চেয়ে অনেক এগিয়ে আছে আফগানিস্তান।
বাংলাদেশের কঠিন সময়ে শুক্রবার শুরু ত্রিদেশীয় টি-টোয়েন্টি সিরিজ 1
আফগানিস্তান ও জিম্বাবুয়েকে নিয়ে অনুষ্ঠিত হবে এই সিরিজ। শুক্রবার জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে টি-টোয়েন্টি মিশন শুরু করবে টাইগাররা। সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টায় মিরপুরের শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে শুরু হবে ম্যাচটি। ডাবল লিগের এই টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণকারী প্রতিটি দলই দুইবার করে একটি দলের সঙ্গে প্রাথমিক পর্বে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে। দেশের দুটি ভেন্যু ঢাকাস্থ মিরপুরের শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়াম এবং চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে সিরিজের ম্যাচগুলো।

তবে স্বাগতিক হলেও সিরিজ জয় করা কঠিন হবে টাইগারদের জন্য। কেননা তারা এখনো টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের সংস্কৃতি শেখে উঠতে পারেনি। এছাড়া আফগানিস্তানের কাছে টেস্টে ২২৪ রানে হারের লজ্জা স্বাগতিক দলের আত্মবিশ্বাসে চির ধরিয়ে দিয়েছে। ইতোমধ্যে ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ত ভার্সনে নিজেদেরকে বাংলাদেশের চেয়ে শক্তিশালী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে আফগানিস্তান। এই ফরম্যাটের ক্রিকেটেই তারা বেশি সফলতা পেয়েছে।

সর্বশেষ ২০১৮ সালে ডাবলিনে অনুষ্ঠিত তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে বাংলাদেশকে হোয়াইট ওয়াশ করেছিল আফগানিস্তান। এ পর্যন্ত দুই দল ৪টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছে। এর ৩ টিতেই জিতেছে আফগানরা। অপরদিকে জিম্ববুয়ের বিপক্ষে ৭ ম্যাচে অংশ নিয়ে সবকটিতেই জয়লাভ করেছে গৃহযুদ্ধে জর্জরিত দেশটি। এই পরিসংখ্যানই বলে দেয় আসন্ন ত্রিদেশীয় সিরিজে আফগানরা কতটা শক্তিশালী হবে। যে কারণে আসন্ন টুর্নামেন্টে তারাই শিরোপার ফেভারিট। নিমিষেই চুর্ণবিচুর্ণ করে দিতে পারে স্বাগতিকদের প্রত্যাশাকে।

যদিও অধিনায়ক সাকিব আল হাসান বলেছেন, ‘প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচে আমাদের জয় প্রয়োজন। আমরা যদি সফল হতে পারি তাহলে সবকিছুই নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে। টেস্টের জন্য নির্বাচিত খেলোয়াড়দের অধিকাংশই আছেন টি-টোয়েন্টি দলে। তাই সবাইকেই এখন টেস্ট ফরম্যাট থেকে বেরিয়ে টি-টোয়েন্টি ম্যাচের মেজাজে ফিরতে হবে। একই সঙ্গে আমাদের পারফর্মও করতে হবে। এটি অবশ্য আমাদের জন্য কঠিন হবে। তবে টুর্নামেন্টে ভালো একটি সূচনা পাবার জন্য প্রথম এই ম্যাচে জয় পাওয়াটা আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।’

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!