বাংলাদেশের অর্থনীতির লাইফ লাইন চট্টগ্রাম

চট্টগ্রাম আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা উদ্বোধনে বাণিজ্য মন্ত্রী

বাণিজ্য মন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, বাংলাদেশের অর্থনীতির লাইফ লাইন চট্টগ্রাম। ‘বাণিজ্যে বসতি লক্ষ্মি’র অবস্থান হচ্ছে চট্টগ্রাম। চট্টগ্রামকে বাণিজ্যের উপযোগি করে সাজাতে হবে। আমাদের প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলো চট্টগ্রামের সাথে বাণিজ্য করতে চায়। এতে রেভিনিউ বাড়বে, দেশও উন্নত হবে।

বৃহস্পতিবার (৫ মার্চ) নগরের পলোগ্রাউন্ড মাঠে ২৮তম চট্টগ্রাম আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা উদ্বোধনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এমন মন্তব্য করেন।

চট্টগ্রাম চেম্বার সভাপতি মো. মাহাবুবুল আলমের সভাপতিত্বে এসময় শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, সংসদ সদস্য এমএ লতিফ, ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ এর সভাপতি শেখ ফজলে ফাহিম, সিএমপি কমিশনার মো. মাহাবুবুর রহমানসহ সাবেক চেম্বার পরিচালকগণ ও ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

বাণিজ্য মন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, ১৯৭৫ এর ১৫ আগষ্ট পরাজিত শক্তিরা জাতির জনককে হত্যা করে। তারা কেবল শেখ মুজিবকে হত্যা করেনি, পুরো বাঙ্গালি জাতিকে হত্যা করেছে। ‘৭৫ এর পর দেশে উন্নয়নতো হয়নি, বরং দেশের অর্থনীতি ধ্বংস হয়েছে।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এখন দেশের সুষম উন্নয়ন করে যাচ্ছেন। এখন উন্নয়ন শহরমূখী নয়। শহর ও গ্রামে সমপর্যায়ে উন্নয়ন হচ্ছে। শহরের সকল সুবিধা গ্রামে পৌঁছে যাচ্ছে। মানুষ ঘরে বসেই সকল ধরণের সুবিধা গ্রহণ করতে সক্ষম হয়েছেন শেখ হাসিনার নেতৃত্বের জন্য।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেন, পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠিকে আমাদের এগিয়ে নিতে হবে। এখন শিক্ষা পাঠ্যপুস্তক নির্ভর নয়, সময় উপযোগি হওয়া প্রয়োজন। পুস্তকনির্ভর ও ক্লাসনির্ভর শিক্ষা থেকে বেরিয়ে কারিগরি শিক্ষা নিতে হবে। জনসংখ্যাকে দক্ষ জনশক্তিতে পরিণত করতে হবে।

এসময় ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ’র সভাপতি শেখ ফজলে ফাহিম বলেন, করোনাভাইরাসের জন্য বাংলাদেশের অর্থনীতিতে কোনও ধরণের প্রভাব পড়বে না। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মাধ্যমে জানা যায়, করোনাভাইরাস যতটা ভয়াবহ মনে হচ্ছে, ততটা ভয়াবহ নয়।

চেম্বার সভাপতি মো. মাহাবুবুল আলম বলেন, এবারের মেলায় বেশ নতুনত্ব রয়েছে। মুজিববর্ষ উপলক্ষে মুজিব কর্ণার, জাতির জনকের জীবনের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোকচিত্র প্রদর্শনের জন্য থিয়েটার রুম, একটি ভিআইপি লাউঞ্জ ও একটি কনফারেন্স রুম রয়েছে। এতে বঙ্গবন্ধু সংক্রান্ত তথ্যচিত্র, প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান বাতিঘরের সহায়তায় বিভিন্ন বই ও প্রকাশনা প্রদর্শনের ব্যবস্থা থাকছে।

এবারের মেলায় ৪ শতাধিক স্টল ও ২০টি প্রিমিয়ার প্যাভিলিয়ন রয়েছে। মেলায় দেশের বিভিন্ন কোম্পানির পাশাপাশি থাইল্যান্ড, ভারত, ইরান ও তুরস্কের বিভিন্ন স্টলের মাধ্যমে তাদের নিজস্ব পণ্য বিক্রি ও প্রদর্শন করবে। শিশুদের বিনোদনের জন্য ৩ হাজার ৪ শত ফুটের গেম জোন রাখা হচ্ছে। মেলার সহযোগি পার্টনার থাইল্যান্ড। মাসব্যাপী এ মেলা প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত চলবে।

সিএম/এসএ

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!