বাঁশের ঝুড়িতে মোড়ানো ৩১ লাখ টাকার ইয়াবা, নেপথ্যে বড় চক্র

চট্টগ্রামের পটিয়া থেকে প্রায় ৩১ লাখ টাকা মূল্যের ১০ হাজার ৩১০ পিস ইয়াবা জব্দ করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় দুই পাচারকারীকে আটক করা হলেও পুলিশের ধারণা, তাদের সঙ্গে বড় একটি চক্র জড়িত থাকতে পারে।

আটক দুজন হলেন কক্সবাজার জেলার টেকনাফ থানার রাজার ছড়া নোয়াখালী পাড়ার মোকতুল হোসেনের ছেলে আবুল ফয়েজ (৩৬) এবং সুনামগঞ্জের টেংরাটিলা এলাকার হরমুজ আলীর ছেলে মহর আলী (৪৪)।

পটিয়া থানা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, বুধবার (২০ জানুয়ারি) সন্ধ্যা ৬টার দিকে গোপন তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ খবর পায়, দুজন মাদক ব্যবসায়ী কক্সবাজার থেকে একটি বাসে করে বিপুল পরিমাণ মাদকদ্রব্য নিয়ে চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন। এ সংবাদের ভিত্তিতে পটিয়া থানা পুলিশের একটা বিশেষ টিম উপ-পরিদর্শক সাখাওয়াত হোসেনের নেতৃত্বে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার আরকান মহাসড়কে পটিয়ার খরনা রাস্তার মাথা এলাকায় বিশেষ চৌকি বসিয়ে অবস্থান নেয়।

একে একে একে বেশ কয়েকটি যাত্রীবাহী বাসে তল্লাশি চালিয়ে যখন আরেকটি পরিবহনের যাত্রীবাহী বাস এসে পুলিশের তল্লাশিচৌকিতে এসে থামে ওই সময় পুলিশ গাড়ির ভেতর তল্লাশি শুরু করে। ঠিক এ সময় বাসে থাকা দুজন যাত্রী দ্রুতগতিতে নেমে যান। পুলিশ ধাওয়া করে তাদের আটক করে। পরে তল্লাশি করে তাদের সাথে থাকা একটা বাঁশের ঝুড়ির ভেতর অভিনব কায়দায় মোড়ানো প্যাকেটে ১০ হাজার ৩ শত ১০ পিস ইয়াবা পাওয়া যায়।

এদিকে আটক ওই দুই ইয়াবা কারবারি পুলিশের কাছে স্বীকার করেছেন, তারা ইয়াবাগুলো টেকনাফ ও কক্সবাজার থেকে কম দামে কিনে চট্টগ্রামে বিক্রির জন্য নিয়ে যাচ্ছিলেন।

বৃহস্পতিবার (২১ জানুয়ারি) আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হবে বলে জানিয়েছে পটিয়া থানা পুলিশ ।

এ ব্যাপারে পটিয়া থানা উপ-পরিদর্শক সাখাওয়াত হোসেন জানান, খরনা রাস্তার মাথা এলাকায় বিশেষ চৌকি বসিয়ে আমরা যাত্রীবাহী বাসগুলো তল্লাশি করতে থাকি। এ সময় দুজন লোক বাস থেকে নেমে গাড়ি পরিবর্তন করতে রাস্তায় নেমে গেলে সন্দেহ হয়। আমাদেরকে দেখে তারা দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করে। তখন আমারা তাদের আটক করে তাদের সাথে থাকা একটা বাঁশের ঝুড়িতে বিশেষ কৌশলে মোড়ানো বিপুল পরিমাণ ইয়াবা উদ্ধার করি।

সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!