বাঁশের কেল্লায় চড়ে ৫৫ রোহিঙ্গার আগমন

বাঁশের কেল্লায় চড়ে ৫৫ রোহিঙ্গার আগমন 1গিয়াস উদ্দিন ভুলু,টেকনাফ : পার্শ্ববর্তীদেশ মিয়ানমার রাখাইন রাজ্য থেকে নির্যাতিত রোহিঙ্গাদের আগমনের ঢল কিছুতেই থামছেনা। প্রতিদিন শত শত নারী-পুরুষরা অবুঝ শিশুদেরকে সাথে করে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নদী ও সাগর পথ পাড়ি দিয়ে বাংলাদেশ সীমান্ত অনুপ্রবেশ করা অব্যাহত রেখেছে।।
এদিকে গত ২৫ আগস্ট সহিংস ঘটনার পর থেকে রাখাইন রাজ্য থেকে লক্ষ লক্ষ রোহিঙ্গারা অনুপ্রবেশ করেছে মানবিক বাংলাদেশের উখিয়া+টেকনাফ সীমান্তে। বর্তমানে রোহিঙ্গাদের পদভারে অতিষ্ট হয়ে পড়েছে অত্র এলাকার সাধারন মানুষ। আর এই রোহিঙ্গাদের কারনে বিভিন্ন সমস্যায় জর্জরিত হচ্ছে স্থানীয়রা। দিনের পর দিন বাড়ছে দ্রব্যমুল্যের উর্ধগতি। এদিকে রোহিঙ্গাদের আগমন ঠেকাতে স্থানীয় প্রসাশনের সদস্যরা যতই কঠোর হচ্ছে ততই রোহিঙ্গারা অনুপ্রবেশ অব্যাহত রাখার জন্য বিভিন্ন কৌশল হাতে নিয়েছে। রোহিঙ্গাদের সীমান্ত অতিক্রম করার কৌশলের মধ্যে অন্যতম হচ্ছে প্লাষ্টিক জারিকেন ব্যবহার করে নদী সাঁতরিয়ে অনুপ্রবেশ করা। অথচ ৮ নভেম্বর সেই কৌশলকেও হার মানিয়েছে রোহিঙ্গারা। সকাল ৯ টার দিকে নাফ নদীর টেকনাফ শাহপরদ্বীপ উপকুলে চার পাশে ১৬০টি প্লাষ্টিক জারিকেন দিয়ে একটি বাঁশের কেল্লায় চড়ে ৫৫ জন রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ করে। এর মধ্যে ২৩ জন শিশু,১৮জন নারী,১৪ জন পুরুষ ছিল।
তাদের কাছ থেকে জানা যায়,
গত চার দিন আগে মানবিক বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করার জন্য প্লাস্টিকের জারিকেন ও বাঁশ দিয়ে একটি বাঁশের কেল্লা তৈরি করা হয়। এরপর সেই কেল্লায় চড়ে  মংডু শহরের দংখালি গ্রামের নারী-পুরুষ ও শিশুসহ সর্বমোট ৫৫ জন  দিবাগত রাত ৩ টার দিকে বাংলাদেশের উদ্দেশে রওনা হই। তারা নিজেরাই বইঠা চালিয়ে নাফ নদী পাড়ি দেয়। অবশেষে সকাল ৯ টার দিকে শাহপরীরদ্বীপ এসে পৌঁছায়। পরে স্থানীয় বিজিবির সদস্যরা তাদেরকে উদ্ধার করে।
তারা আরো বলেন এখনো হাজার হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করার অপেক্ষায় রয়েছে। নৌকা সংকট হওয়ার কারনে অনেক রোহিঙ্গা মিয়ানমারের বিভিন্ন উপকুলীয় এলাকায় বসতি স্থাপন করে আছে। এর মধ্যে অনেক জন ঠকমত খেতে না পেরে ক্ষুধার যন্ত্রনায় মারা যাচ্ছে।।
অপরদিকে নদী ও সাগর পথে রোহিঙ্গাদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সীমান্ত অতিক্রম করার কৌশল দেখে হতবাক হয়ে পড়েছে টেকনাফবাসী। কারন রোহিঙ্গাদের আগমনের ঢল থামাতে স্থানীয় প্রসাশনের সদস্যরা নৌকা চলাচল বন্ধ এবং চলাচলে কঠোর নজরদারীসহ বিভিন্ন কৌশল হাতে নেয়। কিন্তু রোহিঙ্গারা নৌকা ছাড়াই এখন নদী ও সাগর পথ পাড়ি দিয়ে মানবিক বাংলাদেশে চলে আসার জন্য অবৈধ অনুপ্রবেশ অব্যাহত রেখেছে।।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!