বাঁশখালী গর্ভবতী খুন, জিনে মেরেছে বলে লাশ দাফন

বাঁশখালীর গণ্ডামারা ইউনিয়নের পূর্ব বড়ঘোনা গ্রামে রুমা আক্তার(১৬) নামের গর্ভবতী তরুণীকে খুন করার পর জিনে মেরেছে প্রচার করে লাশ দাফন করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। নিহতের বাবা নুরুল আমিন লাশ দাফনের ১৯ দিন পর শনিবার (২৭ এপ্রিল) সাতজনকে আসামি দেখিয়ে বাঁশখালী থানায় এজাহার দায়ের করেছেন। রোববার পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।

এজাহার থেকে জানা গেছে, নুরুল আমিনের স্ত্রী প্রায় ১০ মাস পূর্বে মারা যায়। তাঁদের ছয় কন্যা ও তিন পুত্র। নুরুল আমিন আর বিয়ে করেনি। দুই কন্যাকে বিয়ে দেয়া হয়েছে। রুমা আক্তারও বিবাহযোগ্য হয়ে ওঠে। এর মধ্যে প্রতিবেশি মৃত বজল আহমদের পুত্র তৌহিদুল ইসলামের নজর পড়ে রুমা আক্তারের ওপর। বিয়ের প্রলোভনে তৌহিদুল রুমার সাথে অবৈধ মেলামেশা করলে একপর্যায়ে গর্ভবতী হন রুমা। তৌহিদুল রুমাকে বিয়ের কথা বলে অভয় দিতো। যা প্রতিবেশিসহ অনেকে জানতো। গত ৬ এপ্রিল চট্টগ্রাম মহানগরীর এক হোটেলে প্রতিবেশি আরেক যুবতীর সাথে অবৈধ মেলামেশা করার সময় ধরা পড়ে তৌহিদুল ইসলাম। এ খবর এলাকাবাসী জানতে পেরে জোরপূর্বক ওই যুবতীকে তৌহিদুলের সাথে বিয়ে করিয়ে দেয়। ওই মেয়ের সাথে বিয়ে হওয়ার পর এ নিয়ে রুমা আক্তার তৌহিদুলের সাথে পীড়াপীড়ি শুরু করে দিলে গত ৯ এপ্রিল রাতে রুমা আক্তারকে শ্বাসরোধ করে কৌশলে খুন করা হয়। পরে প্রচার করে জিনে মেরেছে রুমাকে। গলা ছাড়া রুমার পুরো শরীরের কোথাও দাগ ছিলোনা। জিনে মেরেছে প্রচার করে তড়িঘড়ি করে রুমা আক্তারের লাশ দাফন করে ফেলে।

রুমা আক্তারের বাবা নুরুল আমিন বলেন, আমার মেয়ে রুমার কোনো অসুখ ছিল না। তৌহিদুল ও তৌহিদুলের পরিবার আমার মেয়েকে হত্যা করে জিনে মেরেছে বলে প্রচার করে আমার মেয়ের লাশ দাফন করেছে। আমরা অশিক্ষিত মানুষ এসব বুঝি না। আমি মেয়ে হত্যার বিচার চাই।

গন্ডামারা ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান আনোয়ারুল ইসলাম চৌধুরী বাদশা বলেন, রুমাকে হত্যার পর ভুল বুঝিয়ে খুনিরা কৌশলে লাশ দাফন করেছে। বিয়ের প্রলোভনে অবৈধ মেলামেলার পর গর্ভবতী হওয়ায় রুমাকে হত্যা করা হয়েছে। খুনিরা এখন পলাতক।

বাঁশখালী থানার এস আই হাবিবুর রহমান বলেন, রুমার বাবা থানায় এজাহার দেয়ার করার পর বিষয়টি তদন্তাধীন আছে। আরও কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। এরপর রুমাকে হত্যা করা হয়েছে কিনা তা নিশ্চিত হওয়া যাবে। এখন কিছু বলতে পারছি না।