বাঁশখালীতে বৃষ্টির মধ্যেও থেমে নেই গর্জন গাছ চুরি

স-মিল থেকে ছয়টি গাছ উদ্ধার

বাঁশখালীর চাম্বল পাহাড়ি এলাকায় প্রচণ্ড বৃষ্টিতেও থেমে নেই গর্জন গাছ চুরি। সরকারি এসব গাছ নির্বিচারে চুরি করে নিয়ে যাচ্ছে চোরের দল। ব্যয়বহুল এসব গাছ চোরের কাছ থেকে সস্তা দামে পেয়ে কিনে নিচ্ছে স-মিল মালিক ও কাঠ ব্যবসায়ীরা। সশস্ত্র চোরের দলকেও ঠেকিয়ে রাখতে পারছেন না বনবিভাগের কর্মকর্তারা। অপরদিকে অভিযোগ ওঠেছে গাছ চোরদের সঙ্গে সখ্যতা রেখেই কতিপয় বন কর্মকর্তারা এসব গাছ চুরিতে লিপ্ত রয়েছে। ফলে নির্বিচারে ধ্বংস হচ্ছে সরকারের বনজ এসব মূল্যবান গর্জন গাছ।

স্থানীয় চেয়ারম্যান মুজিবুল হক চৌধুরী বনদস্যুদের দমন করতে মাঠে নামিয়েছেন নিজস্ব বাহিনী। তিনি নিজেই গত ১০ জুলাই শেখেরখীলের নিমতলা এলাকার স-মিলে অভিযান চালিয়ে ৬টি মূল্যবান গর্জন গাছ উদ্ধার করেছেন। অবশ্য ওইসময় তার সঙ্গে ছিলেন চাম্বল বনবিট কর্মকর্তা শেখ আনিছুজ্জামানও । উদ্ধার হওয়া এসব গাছের আনুমানিক মূল্য ১ লাখ ৩০ হাজার টাকা।

চাম্বল ইউপি চেয়ারম্যান মুজিবুল হক চৌধুরী বলেন, ‘চাম্বল পাহাড়ে দীর্ঘদিন ধরে বনদস্যুরা গর্জন গাছসহ বিভিন্ন গাছ চুরি করছে। সম্প্রতি গাছ চুরি বেড়ে যাওয়ায় আমি নিজস্ব লোকজন দিয়ে পাহারা বাসিয়েছি। গত ৯ জুলাই রাতে প্রচণ্ড বৃষ্টির মধ্যেও স্থানীয় মঞ্জুর আলম, মোহাম্মদ দিদার, সরওয়ার ও জয়নাল ছয়টি গর্জন গাছ চুরি করে শেখেরখীলের এক স-মিলে বিক্রয় করেছে শুনেছি। গত ১০ জুলাই ওই নিমতলা স-মিলে গিয়ে গাছগুলোর সন্ধান পেয়ে বন কর্মকর্তাকে ডেকে গাছগুলো বুঝিয়ে দিয়েছি। স-মিল মালিক জাকেরুল হক চোরের কাছ থেকে সস্তায় মাত্র ৩৭ হাজার টাকা দিয়ে গাছগুলো কিনেছিলেন।’

চাম্বল বনবিট কর্মকর্তা শেখ আনিছুজ্জামান বলেন, ‘ চাম্বলের বনদস্যুরা সশস্ত্র হওয়ায় এদের ঠেকানো যাচ্ছে না। বনদস্যু মো. দিদারকে একমাস আগেও গাছ চুরির মামলায় পুলিশ গ্রেপ্তার করেছিল। জামিনে এসে আবার একইভাবে গাছ চুরি পেশায় নেমেছে। গর্জন গাছ চুরি ঠেকাতে যাবতীয় পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। গাছ চোরদের বিরুদ্ধে মামলা করা হবে।’

এএইচ

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!