বাঁশখালীতে পূজা মণ্ডপে রাতভর তাণ্ডব, প্রতীমা ভাঙচুর—রক্তাক্ত হিন্দুরা

চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় পূজা মণ্ডপে হামলার খবর পাওয়া গেছে। বুধবার (১৩ অক্টোবর) সন্ধ্যা ৬ টা থেকে হঠাৎ করেই বাঁশখালীর পশ্চিম চাম্বল বাংলাবাজার জলদাশ পাড়ার পূজা মন্ডপে হামলার মধ্য দিয়ে শুরু হওয়া এই তাণ্ডব রাত দেড়টাবদ্বি চলছিল।

পরিস্থিতি মোকাবেলায় বাঁশখালী থানা পুলিশের পাশাপাশি দুই প্লাটুন বিজিবিও মোতায়েন করা হয়েছে এই উপজেলায়। পাশাপাশি র‍্যাবের একাধিক টিমও সেখানে কাজ করছে বলে বাঁশখালী থানা সূত্রে জানা গেছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বুধবার সন্ধ্যা থেকে গভীর রাত পর্যন্ত কমপক্ষে ১০টি পূজা মণ্ডপে হামলা করে প্রতীমা ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। এর পাশাপাশি বেছে বেছে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের পাড়া, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানেও হামলার খবর পাওয়া গেছে। বিভিন্ন এলাকায় মিছিল করে এসব হামলা করা হয়েছে।

চট্টগ্রাম প্রতিদিনের বাঁশখালী প্রতিনিধির দেয়া তথ্য অনুযায়ী বাঁশখালী পৌরসভা, বৈলছড়ী,শীলকূপ, পুঁইছড়ি, নাপোড়া, বাহারছড়া, চাম্বলের পূজা মণ্ডপ ছাড়াও বাঁশখালী থানার সামনে কেন্দ্রীয় কালীবাড়ির গেইটও ভেঙেছে হামলাকারীরা। এর মধ্যে বেশিরভাগ এলাকাতেই স্থানীয় হিন্দুরা প্রতিরোধও করেছেন।

পরিস্থিতি মোকাবেলায় বাঁশখালীর সংসদ সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী, উপজেলা চেয়ারম্যান চৌধুরী মোহাম্মদ গালিব সাদলী, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাইদুজ্জামান চৌধুরী মাঠ পর্যায়ে কাজ করছেন বলে জানা গেছে। এর মধ্যে শীলকূপে হামলা প্রতিরোধে সাংসদকে সরাসরি নেতৃত্ব দিতে দেখা গেছে বলেও জানা গেছে স্থানীয় সূত্রে।

বাঁশখালীর বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে জানতে চাইলে উপজেলা চেয়ারম্যান চৌধুরী মোহাম্মদ গালিব সাদলী চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘এই বিষয়ে আমাদের কোন কথা বলা ঠিক হবে না। অনেক জায়গায় হামলা হয়েছে। আমরা বেশিরভাগ জায়গা পরিদর্শন করতে পারিনি। তবে আমরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে কাজ করছি। আমরা এখনো সবাই উপজেলা পরিষদে আছি। আপনারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সাথে কথা বলেন।’

এদিকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাইদুজ্জান চৌধুরীর সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও সফল হওয়া যায়নি।

এআরটি/এমএহক

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!